জলপাইগুড়ি : দরজা বন্ধ করে পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসারের সামনেই ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ। তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে মারামারি...পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বাদ যায়নি কিছুই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতই অশান্তির চেনা ছবি দেখা গেল উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলাতেও। ফল, কার অনুকূলে যায় তা সময় বলবে। কিন্তু, C-Voter-এর সমীক্ষা বলছে, এবারও জেলা পরিষদে কিস্তিমাত করবে রাজ্যের শাসকদলই। কিন্তু, ২০১৮-র মত আর একতরফা ফল হবে না। অন্য বিরোধী দলগুলির ভাগ্যেও এবার শিকে ছিঁড়বে। অর্থাৎ, জেলা পরিষদে এবার শাসক দলের একচেটিয়া ক্ষমতা নয়, ঢুকতে পারেন বিরোধী দলের সদস্যরা।


কী বলছে C-Voter-এর এক্সিট পোল (বিকাল ৪টা পর্যন্ত) ? -


২০১৮ সালে জলপাইগুড়িতে জেলা পরিষদের মোট আসন ছিল ১৯টি। সেবার ১৯টি আসনেই জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। খাতা খুলতে পারেনি বিরোধী- বাম-কংগ্রেস বা বিজেপি। তবে এবারের সমীক্ষা বলছে, মোট ২৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকছে। তারা পেতে পারে ১৬ থেকে ২০টি আসন। তবে, বিজেপি এবার শুধু খাতাই খুলবে না। তারা ৪ থেকে ৮টি আসন পেতে পারে। বাম ও কংগ্রেস পেতে পারে ১টি আসন। বিকাল ৪টে পর্যন্ত এই সমীক্ষা।


আজ কোথায় কোথায় অশান্তি হল এই জেলায় ?


আজ জলপাইগুড়ির মালবাজার ব্লকের ওদলাবাড়ি হিন্দি হাইস্কুলের বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 
দরজা বন্ধ করে পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসারের সামনেই ছাপ্পা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ নির্দল প্রার্থীর। নির্দল প্রার্থীর দুই অনুগামীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ।


তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল মিলে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করে। প্রতিবাদ করাতেই মিথ্যা অভিযোগ। বিরোধী দলের কর্মী, সমর্থকরা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। আধঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। 


এদিকে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ধূূপগুড়ির সোনাখালি বনবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। গন্ডগোল ছড়িয়ে পড়ে বাইরেও। কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, নিরাপত্তার দায়িত্বে একজন মহিলা কর্মী। তাঁর সামনেই ছাপ্পা ভোট চলে বলে কংগ্রেস ও তৃণমূলের অভিযোগ।


ভোট করতেই হবে বলে বুথের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা ভোট বন্ধের দাবি জানায় কংগ্রেস। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial