কলকাতা: আগামী ৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। কোন জেলায় কোন দল (political parties) জিতবে, কোন দল পিছিয়ে পড়বে তা নির্ভর করছে একাধিক বিষয়ের ওপর। বিভিন্ন জেলার আলাদা আলাদা ইস্যু তো আছেই সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের (central government) সঙ্গে রাজ্য সরকারের ক্রমাগত লড়াইও ফেলতে পারে প্রভাব। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে (100 Days Work) আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে বারবার বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল। এই ইস্যু কি রাজ্যের শাসকদলকে বাড়তি ডিভিডেন্ট দেবে? গ্রাম বাংলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে আগামী শনিবার লাইনে দাঁড়াবেন ভোটাররা। ইতিমধ্যেই নিজেদের মতো যুক্তি-তক্কের অস্ত্রে শান দিয়ে, প্রচারে নেমে পড়েছেন সব দলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু, যাঁদের ওপর নির্ভর করছে পঞ্চায়েত ভোটের রায়, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন ? তার আঁচ পেতে রাজ্যজুড়ে জনমত সমীক্ষা (Opinion) চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার (C Voter)। 


কী বলছে সমীক্ষা?


কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ কি পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে ডিভিডেন্ট দেবে? কী বলছে সমীক্ষা? এই প্রশ্নের উত্তরে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পক্ষে রয়েছেন ৩৭ শতাংশ ভোটার। অন্যদিকে এই ইস্যু তৃণমূলকে কোনও ডিভিডেন্ট দেবে না বলে মনে করছেন ৪০ শতাংশ মানুষ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ শাসকদলকে কোনও সুবিধা দেবে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি ২৩ শতাংশ মানুষ। 


রাজ্যের সবকটি জেলা পরিষদের সব কটি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জনের মধ্যে। এই সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস ৫ শতাংশ।  কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা, কোনওটাই শেষ কথা নয়। গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্যালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে। সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সম্পূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্যান্য নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্যে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্যান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।


আরও পড়ুন: Air Conditioner: বর্ষাতে ভ্যাপসা গুমোট গরম কাটাতে চালাচ্ছেন এসি, মেশিনের খেয়াল রাখতে কী কী করবেন?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial