সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence 2024) মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের (Calcutta High Court On West Bengal Government)। 'বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখেছি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস চলছে এবং এটা বন্ধ করতে হবে', মন্তব্য বিচারপতি কৌশিক চন্দের। 


বিশদ...
রাজ্যের সওয়াল ছিল, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু আছে। যে গণ্ডগোলের কথা বলা হচ্ছে, সেটা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাও হতে পারে। বিচারপতির মন্তব্য, 'গত বিধানসভা ভোটের পর যা হয়েছিল এখনও তাই হচ্ছে। আপনাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। আপনারা কি অস্বীকার করতে পারবেন যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস হচ্ছে না?'এই রাজ্য ছাড়া আর কোথাও এই অভিযোগ আছে?'
ভোট মিটতে না মিটতেই দিকে দিকে একাধিক অশান্তির অভিযোগ আসতে শুরু করে। নদীয়ার কালীগঞ্জে এক বিজেপি কর্মীর খুন ঘিরে আলোড়ন শুরু হয়। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। এমনকি, আজ, মামলার শুনানির সময়ও, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের যমুনা এলাকায় বিজেপি সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুরের খবর আসে। গত কাল তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এক বিজেপি কর্মীর চায়ের দোকান ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ক্যানিংয়ে আর এক বিজেপি নেতার বাড়িতে ইটবৃষ্টির অভিযোগ শোনা যায়। হাওড়ার বাঁকড়ায় আবার সিপিএম বুথ এজেন্টের দোকান ভাঙচুর চালানো হয় বলেও খবর। শুধু শহরতলি নয়, কলকাতার নারকেলডাঙাতেও বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যেই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের এই মন্তব্য। বিচারপতি চন্দ রাজের উদ্দেশে বলেন, 'রাজ্য যদি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে বা সমস্ত তথ্য আদালতে সামনে পেশ না করে, তাহলে আগামী ৫ বছর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিতে হবে। এই ধরনের ঘটনা আটকাতেই হবে।'


আর যা...
তাঁর আরও মন্তব্য, 'প্রয়োজন হলে আমরা নির্দেশ দেব যাতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।' ভোটের সময় থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, দাবি করেন মামলাকারী। বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় মামলাকারীকে প্রশ্ন করেন, 'আমরা কী করে জানব যে, ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে?' তাতে মামলাকারীর তরফে জানানো হয়, তাদের কাছে সব তথ্য রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে মানুষ যাতে সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করতে পারেন, সেই ব্যাপারে বিচারপতিদের পরামর্শ দিতে বলেন তিনি। বিচারপতির মন্তব্য শুনে রাজ্যের তরফে বলা হয়, 'প্রত্যেক থানা, পুলিশ সুপার, ডিজি এবং আইজির নিজস্ব ই-মেল আইডি আছে। কেউ থানায় না গিয়েও অভিযোগ জানাতে পারেন।' এর ১০ মিনিটের মধ্যেই রাজ্যকে ডিজি র ই-মেল আইডি জানানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। dgpwestbengal@gmail.com এবং dgpofficewbconfidential@gmail.com এই দুটি মেল আইডি-তে জানানো যাবে অভিযোগ।  


 


আরও পড়ুন:খুঁটিয়ে পড়তে পাঠ্য বই, সঙ্গে হাতিয়ার কঠোর পরিশ্রম, টিপস দিলেন জয়েন্টের কৃতীরা