কলকাতা: ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui) কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Security)নিরাপত্তার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Calcutta High Court)। 'রাজ্যের বিশাল সংখ্যক বিধায়ক নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাঙড়ের বিধায়কের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়া প্রয়োজন', মন্তব্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। সঙ্গে সংযোজন, 'যত শীঘ্র সম্ভব হুমকির বিষয় বিবেচনা করে নিরাপত্তা দিতে হবে।' সম্প্রতি ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিয়েছে রাজ্য।


প্রেক্ষাপট...
৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। দিকে দিকে অশান্তি অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে শওকত মোল্লাকে দেওয়া হয়েছে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা। আর এবার নিরাপত্তাহীনতায় নৌশাদ। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দেন ভাঙড়ের বিধায়ক। সোমবার নৌশাদ বলেন, "যে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে, আমি আতঙ্কিত হয়ে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় রাজ্য সরকার কী কেন্দ্রীয় সরকার আমার নিরাপত্তা নিয়ে কেউ ভাবেনি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে এসেছি। ইতিমধ্যেই ভাঙড়বাসীর নিরাপত্তাও চেয়ে রাজ্যপা্লকে জানিয়েছি। এই বিষয় তুলে ধরার জন্য নবান্নেও গিয়েছিলাম।''   


সম্প্রতি পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে দিনগুলিতে রক্তাক্ত হয়েছে বাংলা। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভাঙড়ে। ভাঙড়ের এই অশান্তি নিয়ে পরিস্থিতি তুলে ধরতে নবান্নে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে গিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui )। অশান্তি চলতে থাকলে, শেষ দিন অনেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আইএসএফ বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। আর এদিন  শান্তির স্বার্থে পঞ্চায়েতের প্রার্থী প্রত্যাহারেও প্রস্তুত বলে বার্তা দিয়েছেন নৌশাদ সিদ্দিকি।                                         


আইএসএফ বিধায়ক বলেন, "ভাঙড়ে শান্তির স্বার্থে পঞ্চায়েতের প্রার্থী প্রত্যাহারেও প্রস্তুত, মুখ্যমন্ত্রী বললে প্রার্থী প্রত্যাহার নিয়েও ভাবব। চাই না কোনও রাজনৈতিক দলের কেউ প্রাণ হারাক। আমি চাই ভাঙড়ের প্রত্যেক মানুষ নিরাপদে থাক, ভাঙড়ে সুষ্ঠু নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নিন। ভাঙড়ের শান্তির স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী চাইলে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে প্রস্তুত, খুন, হানাহানি চাই না, এই রাজনীতি করতে আসিনি।''


আরও পড়ুন:চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক কতটা প্রয়োজন ক্যাস্টর অয়েল? কীভাবে চুলের খেয়াল রাখে এই তেল?