সৌভিক মজুমদার: আরও একটি মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  ক্ষোভের মুখে রাজ্য পুলিশ। মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার এবং তাঁর স্ত্রী শিলি হালদারের বিরুদ্ধে, স্থানীয় কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও স্থানীয় থানা এফআইআর করতে চায়নি বলে অভিযোগ ছিল। সেই মামলায় হাইকোর্টে ক্ষোভের মুখে রাজ্য পুলিশ। মথুরাপুর থানার OC-কে শোকজও করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 


মথুরাপুর লোকসভা (Mathurapur Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদারের স্ত্রী শিলি হালদার তৃণমূল পরিচালিত কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতটির দখল নেয় বিজেপি। বর্তমান বিজেপি প্রধানের অভিযোগ, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামী ২ জনে ব্য়াপক টাকা নয়ছয় করেছে। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের একই কাজের জন্য় একাধিকবার টাকা তোলা হয়েছে। যে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি, সেই কাজের টাকাও তোলা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে দাবি। সেই মামলায় এদিন রাজ্য় সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়, বিষয়টির অনুসন্ধান করছেন বিডিও।                


এরপরই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, 'বিডিও কোথা থেকে আসলেন? হঠাৎ করে অনুসন্ধান কেন? যেখানে প্রাথমিকভাবে ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আবার অনুসন্ধানের কী প্রয়োজন?' এই সূত্রেই ভূপতিনগর মামলার কথা উঠে আসে বিচারপতির মুখে। তিনি বলেন, 'ভূপতিনগরের ঘটনায় অভিযুক্তের স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগের অনুসন্ধান না করেই FIR দায়ের করে দিলেন, আর এখানে অভিযোগের একমাস পরেও FIR করা হবে কিনা সিদ্ধান্ত নিতে পারল না পুলিশ।'                                                                


পাশাপাশি বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছে, অভিযোগকারীদের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয় সেটা নিশ্চিত করবে পুলিশ। মথুরাপুরের মামলায় ১৫ দিনের মধ্য়ে পুলিশকে তার বক্তব্য় জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীকে 'মারধর' বিজেপি বিধায়কের! সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে নালিশ