কলকাতা : '' উনি রাজনীতির কতটুকু বোঝেন ? কবে কাজ করেছেন মানুষের জন্য ? ''
কার্যত এভাবেই ক্ষুরধার আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কার বিরুদ্ধে ? এক কালে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে । যদিও একবারের জন্যও নাম মুখেও আনলেন না অধুনা বিজেপি নেতা এবং এককালে তৃণমূলের সাংসদ চলচ্চিত্রকারের । এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন তাঁর সরকার যদি কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর বাস্তব রূপায়ন করে দেখাতে পারে, তবে ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দেওয়া কেন সম্ভব নয় ?
বৃহস্পতিবার নোয়াপাড়ায় দলীয় প্রার্থীর হয়ে সভা করতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন, তা ভাঁওতা ছাড়া আর কিছু নয় । কার্যত রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন রেশন জনগণকে দেওয়া ভিক্ষা নয় বরং অধিকার । তাই রেশন দোকানে গিয়ে ১ গ্রামও কম রেশন পেলে একটি ফোন করলেই ফাটাকেষ্ট হাজির হয়ে যাবে । এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবিপি আনন্দ-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেন, রাজনীতি সম্পর্কে ওই চলচ্চিত্রকারের জ্ঞান খুব কম। তাছাড়াও ওঁর কিছু হোটেল আছে এবং অন্যান্য কিছু কারণে তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতে হয়েছে। তা বলে যা কি্ছু বলে গেলেও বরদাস্ত করবেন না মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সেসময় কিছু সম্মাননীয় মানুষকে তিনি রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলেন, তাই ওই চলচ্চিত্রকারকে তিনি পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক জ্ঞান তেমন নেই। বরং ভাল ছবি করেন বলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সম্মান করেন।
স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথীর সুবিধে যদি মানুষকে তাঁর সরকার করে দিয়ে থাকে, তাহলে কেন সম্ভব নয় বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়া? প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই কাজে কোনও সেলফ হেল্প গ্রুপও সাহায্য করতে পারে, তাতে অনেকের কর্মসংস্থান হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তিনি সারা দেশে যা যা সামাজিক সুরক্ষার প্রজেক্ট করেছেন, তা কেউ করে দেখাতে পারেননি।