কলকাতা: রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই প্রচার তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলির।  রাজ্যে ক্ষমতা দখল করবে কে, তা জানা যাবে ২ মে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? নাকি অন্য কোনও বিকল্প? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানুষের পছন্দ কে? আর কয়েকদিন পরেই  রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। এবার আটটি দফায় ভোট হবে।


কী ফল হবে আসন্ন ভোটে? বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে কারা? ফের একবার কি মসনদ ধরে রাখতে সক্ষম হবে তৃণমূল কংগ্রেস? না কি, এবার ক্ষমতায় আসবে বিজেপি? পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় মোট আসন ২৯৪। ম্যাজিক ফিগার ১৪৮। এই পরিস্থিতিতে আজ তুলে ধরা হচ্ছে সিএনএক্সের তৃতীয় দফার জনমত সমীক্ষা। আর তাতে উঠে আসছে চমকপ্রদ বিভিন্ন ইঙ্গিত।


কয়েক মাস আগেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দু-দুটি সংস্থার সমীক্ষা  সামনে রাখার কথা দিয়েছিল এবিপি আনন্দ।  আজ  সিএনএক্সের তৃতীয় তথা শেষ দফার সমীক্ষা। আবারও বলে রাখা ভালো, এই সমীক্ষা দেখে কোনও উচ্ছ্বাস-হতাশা অর্থহীন, কারণ ভোটের হাওয়া যে কোনও সময়, যে কোনও দিকে বইতে পারে। এই সমীক্ষায় আমাদের জার্নালিস্টিক জাজমেন্ট বা এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও জায়গা নেই। সিএনএক্সের তৃতীয় দফার এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে বারো থেকে একুশে মার্চ পর্যন্ত। রাজ্যের বিয়াল্লিশটি লোকসভা কেন্দ্রের এগারো হাজার নশো কুড়ি জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। ফোনে নয়, একেবারে ভোটারদের মুখোমুখি হয়ে, তাঁদের সামনে প্রশ্ন রাখা হয়েছে। মার্জিন অফ এরর প্লাস-মাইনাস টু পয়েন্ট ফাইভ পার্সেন্ট।


সমীক্ষায় সকলের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল,  পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাকে দেখতে চান?


এর উত্তরে ৩৯ শতাংশই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


২২ শতাংশ বলছেন দিলীপ ঘোষ।


১২ শতাংশ বলছেন শুভেন্দু অধিকারী।


অধীর চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান ৭ শতাংশ।


৫ শতাংশ বলছেন মুকুল রায়।


৪ শতাংশ বলছেন সুজন চক্রবর্তী।


অন্য কেউ – বলছেন ১১ শতাংশ।