নয়াদিল্লি: সরকার গড়ার মতো আসন না পেলেও, হৃত জমি অনেকটাই উদ্ধার করা গিয়েছে। বিশেষ করে, হিন্দি বলয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে দল। রাজ্যের ভোটারদের কৃতজ্ঞতা জানাতে তাই এবার 'ধন্য়বাদ যাত্রা' শুরু করছে কংগ্রেস। পাঁচ দিন ধরে চলবে এই 'ধন্যবাদ যাত্রা'। (Congress Dhanyawaad Yatra)


আগামী ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে 'ধন্যবাদ যাত্রা' বের করতে চলেছে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশের মোট বিধানসভা আসনসংখ্যা ৪০৩। প্রত্যেকটি কেন্দ্রই ছুঁয়ে যাবে কংগ্রেসের এই 'ধন্যবাদ যাত্রা'। লোকসভা নির্বাচনে দলের বিজিত প্রার্থী থেকে দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা  এই 'ধন্যবাদ যাত্রা'য় অংশ নেবেন বলে খবর। (Uttar Pradesh Loksabha Elections 2024)


কংগ্রেস সূত্রে খবর, 'ধন্যবাদ যাত্রা'য় উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে সম্মান জানানো হবে। হাতে হাতে তুলে দেওয়া হবে সংবিধানের প্রতিলিপি। এবারের নির্বাচনে সংবিধান রক্ষার ব্রত নিয়েই প্রচারে নেমেছিল কংগ্রেস। বিজেপি যে ৪০০ আসন পারের লক্ষ্য নিয়েছিল এবং দলের নেতারা যেভাবে সংবিধানে সংশোধন ঘটানোর দাবি জানাচ্ছিলেন, তাকে হাতিয়ার করে হাতশিবির। সেই সংবিধানের প্রতিলিপিই উত্তরপ্রদেশের নাগরিকদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস।


আরও পড়ুন: Prashanta Kishor: ভবিষ্যদ্বাণী মেলেনি, ভুলস্বীকার করলেন PK, কেন এমন ফল BJP-র? জানালেন কারণ


এর আগে, 'ভারত জোড়ো যাত্রা' এবং 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' বের করেছিলেন কংগ্রেসের রাহুল গাঁধী।  প্রথম বার দক্ষিণ থেকে উত্তর ভারত এবং দ্বিতীয় বার পশ্চিম থেকে পূর্ব ভারতে পদযাত্রা করেছিলেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে হাতেনাতে তার ফল মিলেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে হৃত জায়গা উদ্ধারের পর কংগ্রেসের এই 'ধন্যবাদ যাত্রা' রাজনৈতিক কারণেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।


এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে I.N.D.I.A জোট বড় সাফল্য পেয়েছে। কংগ্রেস ছয়টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি জয়ী হয়েছে ৩৭টি আসনে। সেখানে বিজেপি পেয়েছে ৩৩টি আসনে।  ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একা ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। কংগ্রেস পেয়েছিল পাঁচটি আসন, সমাজবাদী পার্টি একটি। সেই নিরিখে এবারে বিপুল সাফল্য পেয়েছে I.N.D.I.A জোট। তাদের এই সাফল্য যেমন চর্চায় উঠে এসেছে, তেমনই বিজেপি-র সাংগঠনিক সমস্যা, নেতাদের মধ্যেকার দ্বন্দ্বও চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। দুই পক্ষই তাই উত্তরপ্রদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।