নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগে ইস্তেহারে বড় ঘোষণা কংগ্রেসের। ক্ষমতায় এলে দেশে সমলিঙ্গের বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিল তারা (Same Sex Marriage)। সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে গত বছর অক্টোবরেই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। কেন্দ্রের হয়ে আদালতে সওয়াল করা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা যুক্তি দেন, ভারতের জনসংখ্যার অধিকাংশ সমলিঙ্গের বিবাহের পক্ষে নন। শুধুমাত্র 'শহুরে অভিজাত'রাই বিষয়টি নিয়ে হইচই করছেন। এর পর সমলিঙ্গের বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ছেড়ে দেয় শীর্ষ আদালত। (Congress Election Manifesto)


বিষয়টি নিয়ে এযাবৎ নীরবতা বজায় রেখেছিল কংগ্রেস। কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে, শুক্রবার যে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তারা, তাতে ক্ষমতায় এলে LGBTQIA+ দের বিবাহকে আইনি স্বীকৃতির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। গত বছর শীর্ষ আদালতের রায়ের সময়ই এ নিয়ে কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে বিশদ বিবৃতি দেওয়া হবে বলে সেই সময় জানিয়েছিল হাতশিবির। এবার নির্বাচনের আগে ইস্তেহারে সেই মতো প্রতিশ্রুতি দিল তারা। (Lok Sabha Elections 2024)


শুক্রবার দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়। সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে তাতে বলা হয়, 'বিষয়টি নিয়ে শলা-পরামর্শ করে আইন আনবে কংগ্রেস, যাতে LGBTQIA+ নাগরিকরা বিবাহের আইনি স্বীকৃতি পান'। কংগ্রেসের পাশাপাশি সমলিঙ্গের বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা করেছে CPM-ও। বৃহস্পতিবার তাদের প্রকাশিত ইস্তেহারে ১৯৫৪ সালের বিশেষ বিবাহ আইনে সমলিঙ্গের যুগলদের বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়। 



আরও পড়ুন: Congress Manifesto: 'চিত্ত যেথা ভয়শূন্য...', কবিগুরুর লাইন টেনে ইস্তেহারে কী বার্তা কংগ্রেসের ?


CPM-এর নির্বাচনী ইস্তেহারে বলা হয়েছিল, সমলিঙ্গের যুগলরা যাতে সম্পত্তির উত্তরাধিকার পান, বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে খোরপোষের অধিকারী হন, তার ব্যবস্থা করারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, বৈষম্য প্রতিরোধী আইন আনার কথাও জানায় CPM, যাতে শিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ পান সমলিঙ্গের নাগরিকরা। লিঙ্গবৈষম্য, হেনস্থার শিকার হওয়া থেকে তাঁদের রক্ষা করার কথাও বলা হয়। 


কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A জোটে শামিল কংগ্রেস এবং CPM. শুক্রবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, দলের রাজ্যসভা সাংসদ সনিয়া গাঁধী এবং লোকসভা সাংসদ রাহুল গাঁধী, সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালের উপস্থিতিতে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়। ইস্তাহারে কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।