কলকাতা: আসন সমঝোতা না হওয়ার দায় এবার ISF-এর ঘাড়ে চাপালেন CPM-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আসন সমঝোতা নিয়ে টানা দু'মাস ঘরে ফোন করেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, কিন্তু নৌশাদ সিদ্দিকির থেকে কোনও জবাব মেলেনি, তিনি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেরও কোনও জবাব দেননি বলে দাবি সেলিমের। এ নিয়ে সেলিমকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন নৌশাদ। (Mohammed Salim)


ভাঙড়ের সভা থেকে এ নিয়ে মুখ খোলেন সেলিম। তিনি বলেন,"আসন সমঝোতা যখন শুরু হল, বামফ্রন্টে আলোচনা হল, কথা হল কংগ্রেসের সঙ্গেও। হোয়াটসঅ্যাপে তালিকা, তথ্য় সব পাঠানো হয়। বামফ্রন্টের চেয়ারম্য়ান হিসেবে বিমান বসু দু'মাস ধরে ফোন করেন। আমি নিজে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করি। কিন্তু কোনও জবাব, বার্তা আসেনি। অর্থাৎ মাঝখানে কেউ ছিল নিশ্চয়ই! হোয়াটসঅ্যাপে সব রেকর্ড রয়েছে। (Nawsad Siddique)


সেলিমের এই দাবি যদিও খারিজ করেন নৌশাদ। পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, "এমন কোনও তথ্য থাকলে প্রকাশ করুন সেলিম সাহেব। আলিমুদ্দিন গিয়ে আমরা যাদবপুর চেয়েছিলাম। কিন্তু তাতে ওপার বাংলার মানুষের কথা তুলে যে মন্তব্য করেন, তা সাংবাদিক বৈঠক করে বললে বুঝতে পারবেন। বসিরহাট কেন্দ্রটি চেয়েছিলাম আমরা, তাতে ১৯৫২ সাল থেকে তথ্য তুলে ধরে, প্রার্থীর পরিচয় নিয়ে যা বলেন, তা প্রকাশ করলে মুখ লুকনোর জায়গা থাকবে না।"


আরও পড়ুন: Dilip Ghosh : 'দিলীপ ঘোষ নিজের জোরে জেতে' দলেরই অন্য প্রার্থীদের খোঁচা ?


২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেস-ISF জোটের সূচনা ঘটে। গোড়াতেই বেশ কিছু বিষয়ে মতান্তর দেখা দিলে এযাবৎ ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে জোটের অন্দরে একাধিক বিষয়ে মতভেদ দেখা দেয়। আসন সমঝোতা নিয়ে কেউ কাউকে জায়গায় ছাড়তে রাজি ছিলেন না বলেও শোনা যায়। সেই আবহেই জোট ছেড়ে, একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন নৌশাদ। 


নৌশাদের এই সিদ্ধান্তের দায় সেই সময়ই তাঁর দিতে ঠেলে সিপিএম। তাদের দাবি ছিল, ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা নিজেই বলেছিলেন নৌশাদ। অথচ জোটের তরফে সেই প্রস্তাব দেওয়া হলে, উচ্চবাচ্য করেননি তিনি। অন্য দিকে নৌশাদের দাবি ছিল, ইচ্ছা করেই তাঁর দিকে ডায়মন্ড হারবার ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসেরে প্রথম থেকেই তাঁকে নিয়ে আপত্তি ছিল, এখনও CPM-ও সেই পথেই হাঁটছে বলে স্পষ্ট দাবি করেন তিনি।