কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালে বসে ভবানীপুরের ভোটকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সারদা কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত জেলবন্দী তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। এমনই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ ভবানীপুরের জোট প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি।
কমিশনকে লেখা চিঠিতে দীপার দাবি, মদন মিত্র ভবানীপুর এলাকারই বাসিন্দা। তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। এসএসকেএমে তিনি যাতে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা না পান, তা সুনিশ্চিত করা হোক। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ছাড়া বাইরের কেউ যাতে মদন মিত্রর ওয়ার্ডে ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করুক কমিশন।
হাসপাতালে মদন মিত্রকে নজরবন্দি করার দাবি তুলেছে বামেরাও। তাদেরও অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে ভোট করানোর জন্যই এসএসকেএম-এ ভর্তি হয়েছেন মদন মিত্র!
সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব বলেছেন, হাসপাতালে মদনকে নজরবন্দি করা হোক। ঘরে সিসিটিভি বসানো হোক।


বিজেপি জানিয়েছে, এই ইস্যুতে তারাও কমিশনে নালিশ জানাবে।

সূত্রের দাবি, সারদা কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রীকে রাখা হয়েছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিন নম্বর ওয়ানে। যেখানে অবাধে আসা-যাওয়া করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। লোকজন আসছেন, দেখা করছেন, আলোচনা করছেন। কোনও বাধা ছাড়াই!
এসএসকেএম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধেয় ভর্তি হওয়ার পর থেকে মদন মিত্রর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু, গুরুতর অসুস্থতার কোনও লক্ষ্মণ মেলেনি বলে হাসপাতাল সূত্রের দাবি। তা সত্বেও, তাঁকে আরও সাতদিন হাসপাতালেই রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে!
মদন মিত্রের অসুস্থতা নিয়ে সাফাইয়ের সুর এসএসকেএম অধিকর্তা মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়!

গত সোমবার ছিল মদন মিত্রের কেন্দ্র কামারহাটিতে ছিল ভোট। বিরোধীদের দাবি, তার আগেও জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে যাওয়ার ‍মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন মদন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যাওয়ায় শেষ মুহুর্তে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। কামারহাটির পর এবার ভবানীপুর। যেখানকার প্রার্থী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! আবার এই ভবানীপুরই মদন মিত্রের খাস তালুক। এখানেই তাঁর বাড়ি। এই এলাকার প্রতিটি গলি তাঁর তালুর মতো চেনা! তাই কি ভবানীপুরের ভোট করাতে জেল থেকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে মদন মিত্র? তাই কি আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে না পাঠিয়ে ভবানীপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত এসএসকেএমই পাঠানো হয়েছে মদন মিত্রকে? প্রশ্ন বিরোধীদের।