রুমা পাল, কলকাতা: বৃহস্পতিবার ডিএম, এসপিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। বৈঠকে জৈন জানতে চান যে, ডিএম, এসপি-দের উপর কোন রাজনৈতিক চাপ রয়েছে কিনা। থাকলে কমিশনকে জানাতেও বলেন। তিনি জানান, এক্ষেত্রে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এমনকি প্রয়োজনে নামও গোপন রাখা হবে।  ভোট প্রক্রিয়ায় কর্তব্যে গাফিলতির হলে তার ফলাফল যে তাঁদের ভুগতে হবে, তা যেমন স্মরণ করিয়ে দেন, তেমনিই প্রয়োজনে কমিশন যে তাঁদের সঙ্গে রয়েছে, তাও জানাতে ভোলেননি জৈন।



এ রাজ্যে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনা বিবেচনা করে ৬৪০০ বুথকে  প্রাথমিকভাবে অতিসংবেদনশীল চিহ্নিত করা হয়েছে। উপনির্বাচন কমিশনার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই এই সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। আগামী সপ্তাহে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন রাজ্য সফরে আসতে পারেন। এদিনের বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং অন্যান্য আধিকারিকরা ছিলেন । উপ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইন লঙ্ঘনকারীদের  শক্ত হাতে দমন করতে না পারলে সংবেদনশীল বুথের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।



তামিলনাডু, কেরালা, অসম, পুদুচেরির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে সংবেদনশীল বুথের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই পাঁচটি রাজ্যেই বিধানসভা ভোট। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যথাযথ ব্যবহার করার কথা বলেন সুদীপ জৈন। ভোটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য সমস্ত সংবেদনশীল অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাঠানোর কথাও বলেন। সংবেদনশীল বুথকে নিয়ন্ত্রণ করার একমাত্র উপায় হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর যথাযথ ব্যবহার, এমনটাই বললেন উপ নির্বাচন কমিশনার।


সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের ভোট নিয়ে চিন্তিত কমিশন। মুর্শিদাবাদের রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর ওপর বোমা হামলা, জেপি নাড্ডার গাড়িতে হামলা, প্রতিদিনই ঘটে চলা রাজনৈতিক সংঘর্ষ এই চিন্তার কারণ।