নন্দীগ্রাম: তৃণমূল কংগ্রেসকে করোনাভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর ভাইরাস বলে কটাক্ষ করে তার ভ্যাকসিনও তৈরি বলে জানালেন দিলীপ ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম নন্দীগ্রামে শুক্রবার যে সভা করেন, সেখানেই তিনি এই দাবি করেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নন্দীগ্রামে আজ শক্তি প্রদর্শন করলেন শুভেন্দু। সেই মঞ্চেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন,  অনেকে জানতে চাইছিলেন, করোনা কবে যাবে। এই করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর ভাইরাস তৃণমূল। তারা কবে যাবে বলে দিচ্ছি। তৃণমূলের ভ্যাকসিনও তৈরি করে ফেলেছি আমরা। মে মাসের ২০ তারিখের পরই তারা চলে যাবে। টিএমসি-র যাওয়ার দিন এসে গিয়েছে। ২০০ আসন নিয়ে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় বসবেন।


শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে বিজেপির সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়। সেখানে শুভেন্দুর  উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ককে দিলীপ বলেন, আমি আজ অতিথি শিল্পী, আসল নায়ক শুভেন্দু অধিকারী! এছাড়া দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়  বলেন, নন্দীগ্রামের মাটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছে। সেই নন্দীগ্রামের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মমতা। নন্দীগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শুভেন্দু। কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, মুকুল-শুভেন্দু চাণক্য। বিশ্বাসঘাতককে ধাক্কা দেওয়ার সময় এসেছে। এই বিধানসভা নির্বাচনই সেই সুযোগ।  এনডিএ-র সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মমতা।

পাল্টা দিলীপকে তোপ দেগে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, দিলীপ ঘোষ বলে ও আরও বড় গুণ্ডা। হাতি বলে কত জল, মশা বড়ে কত তল। ও সব সময় ভুলভাল বকে। তিনি নিশানা করেন কৈলাসকেও। বলেন, একটা মাল এসেছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ডাকাত। কৈলাস, বলছে লাশ চাই!

তৃণমূলের ক্ষমতার অন্যতম ভিত্তিভূমি নন্দীগ্রাম। আর সেখান থেকেই বাগযুদ্ধ চরমে উঠল। এদিন বিজেপির মঞ্চে হাজির ছিল নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবার। শহিদ পরিবারের সদস্যদের এতদিন দেখা যেত তৃণমূলের মঞ্চে। এবার বিজেপির মঞ্চে দাঁড়িয়ে পাশে থাকার জন্য শুভেন্দুকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।