কলকাতা: 'নন্দীগ্রামের (Nandigram Assembly Election 2021) কায়দা হয়েছে তমলুকে (Tamluk TMC Defeat), না হলে সেখানেও বিজেপি হারত', সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট বললেন তৃণমূলনেত্রী (Mamata Banerjee Press Conference)। ভোটগণনা এখনও শেষ হয়নি। তবে ট্রেন্ড থেকে মোটামুটি স্পষ্ট, বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনের সিংহভাগেই ফুটতে চলেছে জোড়াফুল। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বললেন, 'তমলুকে আপনারা দেখেছেন, যা হয়েছে....আমার সময়ে নন্দীগ্রামের মতো। ওটা পুরোটাই রিগ হয়েছে।' তাঁর দাবি, পুনর্নির্বাচন বা ভিভিপ্যাট-গণনা হলে বোঝা যাবে এটাও আসলে পরাজয়।
বিশদ...
লোকসভা ভোটের আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ঘটনার আলোড়ন স্তিমিত হতে না হতেই তমলুক থেকে তাঁর প্রার্থিপদ ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির। উল্টো দিকে, দেবাংশু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রচারের সময় দু'পক্ষের মধ্যে চাঁচাছোলা বাক-বিনিময় হয়। এদিন শেষ হাসি হাসেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৬২ হাজার ২২৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। তমলুকের এই হার নিয়েই তৃণমূলনেত্রীর ব্যাখ্যা, পুরোটাই রিগিং হয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় যখন রাজ্যজুড়ে তৃণমূল-ঝড়, তখন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হার নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়। তৃণমূলনেত্রী নিজে তো বটেই, দলের সর্বোচ্চ স্তরের নেতাদের অভিযোগ, জোর করে হারানো হয়েছিল তাঁকে। একই কায়দা তমলুকেও হয়েছে, অভিযোগ তৃণমূলনেত্রীর।
কাঁথিতে অভিযোগের তির পর্যবেক্ষকের দিকে...
শুধু তমলুক নয়, কাঁথির আসন নিয়েও অভিযোগের তির ছুড়েছেন মমতা। বলেন, 'কাঁথিতে জেতার পরও পর্যবেক্ষক রাজনীতি করছেন। বিজেপির পর্যবেক্ষক দেখেই বাংলায় পাঠানো হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, আমি নিজেও দেখেছি। রাজ্য পুলিশকে কোনও কাজে লাগানো হয়নি। পুরোটাই কেন্দ্রীয় বাহিনী...সবথেকে বেশি অত্যাচার বাংলার উপরে হয়েছে। একদিকে সিবিআইয়ের অত্যাচার, ইডির অত্যাচার, আয়করের অত্যাচার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অত্যাচার, মিডিয়ার অত্যাচার। মিডিয়া তো মিডিয়া ছিল না। মোডিয়া হয়ে গিয়েছিল। আশা করি, এ বার আপনারা বুঝবেন।' সন্দেশখালি থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, সব বিষয়েই এদিন প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। বলেন, 'এদিন বিজেপির কুৎসার জবাব দিয়েছে সন্দেশখালি। উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও হেরেছে। ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি খেয়েছে। মোদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি, আমি খুশি। এবার আর ইচ্ছেমতো আইন করতে পারবে না বিজেপি।' মোদি-শাহের 'অহংকার চূর্ণ' হয়েছে বলেও বার্তা দেন তৃণমূলনেত্রী।
আরও পড়ুন:মমতার কোন কোন মাস্টারস্ট্রোকে বঙ্গে কুপোকাত BJP? কী বলছেন বিশ্লেষকরা?