কলকাতা : মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ না হলেও, উদ্বোধন হয়ে গেছে অযোধ্যার রামমন্দির। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। গোটা দেশজুড়ে তার প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। কিন্তু, আসল সময় কি কাজ করল না রাম মন্দির ফ্যাক্টর ? যেখানে 'আব কি বার ৪০০ পার' এর টার্গেট ছিল, সেখানে বিকেল ৪ টের ট্রেন্ড দেখাল, ৩০০-র আশেপাশেই রইল বিজেপি। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ঠিক কী কী কারণে বাংলায় কাজ করল না মোদি ম্যাজিক ! কেন বেশির ভাগ এক্সিট পোলের হিসেব উল্টে পাল্টে গেল। তৃণমূলের কোন কোন মাস্টারস্ট্রোক কাজে লেগে গেল। কী কারণে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পর, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও গেরুয়া নয়, বাংলায় উঠল সবুজ ঝড়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলায় তৃণমূলের জয়ের মূল কারণ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ডাবল করে দেওয়া। লোকসভা ভোটের ঠিক মুখে ৮ ফেব্রুয়ারি, এ বছরের রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়। তপশিলি জাতি ও জনজাতিদের ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা থেকে বেড়ে হয় ১২০০ টাকা। এর প্রভাবও ভোট বাক্স সরাসরি পড়েছে বলে মনে করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূলের প্রচারে থাকা সব নেতা-নেত্রীরাই বারবার করে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলে বেড়িয়েছেন সারা বাংলায়। মানুষকে বুঝিয়েছেন, কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে। অভিষেকের দিল্লি চলো থেকে ধর্মতলায় মমতার ধর্না, সবকিছরই প্রভাব পড়েছে লোকসভা ভোটের ফলে। ১০০ দিনের টাকা রাজ্যই দিয়ে দেবে বলে যেমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তেমনই কথা রেখেছে তৃণমূল। ফেব্রুয়ারি মাসে ২১ লক্ষ অ্যাকাউন্টে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা দিয়েছে রাজ্য ।
এছাড়া বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রকে বিঁধে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর বারবার বঙ্গে এসে মোদি-শাহ পাল্টা যুক্তিতে রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তৃণমূল লাগাতার একশো দিনের কাজে বঞ্চনার অভিযোগ তুলছে। যখন তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলছে, তখন হিসেব না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিজেপির নেতারা । কিন্তু সব মিলিয়ে মোদি-শাহর যুক্তি যে বাংলার মানুষের কাছে খাটেনি, তার প্রমাণ এই ফল।
এছাড়াও কেউ কেউ বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রার্থী নির্বাচন ও কোনও কোনও প্রার্থীর কেন্দ্র বদল করে দেওয়াকেও দায়ী করছেন বিশ্লষকরা।
রাজ্যের ৪২ আসনের রায় কার পক্ষে, কার বিপক্ষে? ভোট গণনার লেটেস্ট আপডেট