ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া: নির্বাচনী-হিংসার (Post Poll Violence 2024) অভিযোগের তালিকায় আরও এক সংযোজন, এবার 'আক্রান্ত' এক তৃণমূল কর্মী (TMC Worker Beaten)। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। সব মিলিয়ে উত্তেজনার পরিবেশ বেলুড়ের রাজেন শেঠ লেন এলাকায়।


কী জানা গেল? 
অভিযোগকারী তৃণমূলকর্মীর নাম ইন্দ্রজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিতের অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি কর্মী রাজা বৈদ্য, তিলক দাস-সহ কয়েক জন বিজেপি কর্মী ফলঘোষণার আগে থেকেই তাঁকে মারার হুমকি দিচ্ছিলেন। তাঁর মাছব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ভয়ে গত কয়েক দিন তিনি মাছ-ও বিক্রি করতে বসেননি, দাবি ইন্দ্রজিতের। কিন্তু আজ সকালে, মাছ বিক্রি করতে এলে তাঁর উপর হামলা চলে বলে দাবি তৃণমূল কর্মীর। আঙুল অভিযুক্তদের দিকে। এলাকায় অবশ্য অভিযুক্তদের খোঁজ মেলেনি। তবে মূল অভিযুক্ত রাজা বৈদ্যের স্ত্রী জানান, তৃণমূল কর্মীই বেশ কয়েক দিন যাবৎ রাজাকে ফোন করে অশ্রাব্য গালাগালি করতেন। এমনকি তাঁদের শিশু কন্যার নামেও নানা কুকথা বলতেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজা এবং তাঁর সঙ্গীরা আজ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে ফের গালিগালাজ করেন ইন্দ্রজিৎ, দাবি রাজার স্ত্রী। সেখান থেকে বচসা বাধে, রাজাদের আক্রমণে মাথা ফাটে তৃণমূল কর্মীর। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ছুটে আসে বেলুড় থানার পুলিশ এবং সেন্ট্রাল ফোর্সের জওয়ানেরা। সাময়িকভাবে অবস্থা সামাল দেওয়া গেলেও এখনও চাপা উত্তেজনা  রয়েছে সেখানে। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে। 


অভিযোগ বাড়ছেই...
একদিকে যখন হাওড়ায় তৃণমূল কর্মীর উপর আক্রমণের অভিযোগে আলোড়ন, অন্য দিকে সেদিনই, বাঁকুড়ার কোতুলপুরে বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট করে বললে, ঘটনাটি ঘটেছে মাধবগঞ্জ বাজারে। একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিজেপি দাবি করে, কোতুলপুরের মাধবগঞ্জ বাজারে তাঁদের দলীয় কর্মী পিন্টু মণ্ডলের দোকানে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। প্রশাসনের কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো হয় বলেও জানিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। তৃণমূল মানেনি। বরং তাদের বক্তব্য, সৌমিত্র খাঁর দেওয়া টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের জের এটি। বস্তুত, ফলপ্রকাশের পর থেকে প্রায় নিয়মিত কম-বেশি হিংসার অভিযোগ শোনা গিয়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। গত কাল, বৃহস্পতিবার, এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ভর্ৎসনা করে হাইকোর্ট। সঙ্গে জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামী ৫ বছর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন:'দেরি করা চলবে না, দ্রুত এগোন', বার্তা নীতীশের, মোদির নেতৃত্বে সরকার গঠনে সায় NDA-র