কলকাতা: রাজ্যে দুশো আসন টার্গেট ছিল তাদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসত পারল না গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপির টিকিটে নন্দীগ্রাম থেকে জিতলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর জয়ের হাসি হেসে নন্দীগ্রামের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তিনি।


এদিন নিজের ট্যুইটারে হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, আমার ওপর বিশ্বাস এবং ভরসা রাখার জন্য নন্দীগ্রামের প্রতিটি মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই জয় নন্দীগ্রামে প্রতিটি মানুষের জয়। আগামী দিনে নন্দীগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করাই আমার সংকল্প।  



এই পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে নন্দীগ্রামের ভোট গণনার প্রায় প্রত্যেকটি রাউন্ডে এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।


একসময়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন শুভেন্দু। পরবর্তীকালে মন্ত্রিসভার সদস্য থেকে দলের একাধিক পদেও ছিলেন অধিকারীর পরিবারের মেজ ছেলে। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে গত বছর ডিসেম্বরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান শুভেন্দু অধিকারী।


তৃণমূলের বিপ্লবের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রাম। আর সেখান থেকেই শুভেন্দু অধিকারী আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১-এর মহারণে ছিলেন সম্মুখ সমরে। কখনও গদ্দার, কখনও মিরাজফার। লড়াইয়ের ময়দানে নেমে দলত্যাগী শুভেন্দুর উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েননি শুভেন্দু। তবে ‘দিনের শেষে’ নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে জয়ের হাসি হাসলেন তিনি।


নন্দীগ্রাম। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন। এবং এর গোটা প্রেক্ষাপট। কোনও রাজনীতি-নির্ভর সিনেমা স্ক্রিপ্টের থেকে কম চিত্তাকর্ষক নয়। যার উপর নজর ছিল গোটা দেশের। সৌজন্যে - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য-রাজনীতির অন্যতম দুই প্রধান মুখ। একসময়ের রাজনৈতিক সহকর্মীও।


অপেক্ষার অবসান হয় সন্ধেতে। বহু চর্চিত ও নজরকাড়া আসন নন্দীগ্রামে হারলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরতে পরতে উত্তেজনা। প্রথম কয়েক রাউন্ডে এগোতে থাকেন শুভেন্দু। এরপর থেকেই বদলে যায় পাশা। লিড নেন মমতা। ১৬ রাউন্ড শেষেও পরিষ্কার হচ্ছিল না ছবিটা। হাফ লাখ ভোটে মমতাকে হারানোর কথা বলেছিলেন শুভেন্দু।