কলকাতা : বাংলার জয়, বাংলাই পারে। এমনটাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীদের তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, এখনই বিজয়মিছিল করবেন না। কোভিডে অনেকে আক্রান্ত। সেই কথা মাথায় রাখতে হবে।


কিছুক্ষণ পরই সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে বিস্তারিতভাবে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেবেন তিনি। তার আগে দুসোর বেশি আসন নিয়ে জয়ের পর অল্প সময়ের জন্য কালীঘাটে দলীয় কর্মীদের সামনে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তৃণমূল নেত্রী বলেন, সকলকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। সমস্ত করোনাবিধি মেনে চলুন। সকলে মাস্ক ব্যবহার করুন। যার পরই তিনি জানান এটা বাংলার জয়, বাংলাই পারে।


হাইভোল্টেজ ব্যাটল বেঙ্গলে দুশোর বেশি আসন জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করার পথে তৃণমূল কংগ্রেস। টানা তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কঠিন লড়াইয়ে জিতে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত, আনন্দিত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তাই জয়ের জন্য তাদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বর্তমানে রাজ্য যে করোনাকালের সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেছে তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করার কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।


সকাল থেকে ভোট গণনা পর্ব শুরু হতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লিড নিতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। বেলা গড়াতেই যা ক্রমশ পরিণত হয় সবুজ ঝড়ে। সব বুথফেরত সমীক্ষায় দেখানো আসন সংখ্যার থেকে অনেক বেশি আসনে জেতে ঘাসফুল শিবির। তবে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা বজায় ছিল নন্দীগ্রাম কেন্দ্র ঘিরে। এএনআই সূত্রে প্রথমে খবর ছিল সেখানে ১২০০ ভোটে জিতেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পরে অবশ্য জানা যায় ১৯৫৩ ভোটে হেরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


বাংলার বিধান প্রসঙ্গে কিছুদিন আগেই এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যয়ী সুরে বলেছিলেন দুই-তৃতীয়াংশ আসন জিতে ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল কংগ্রেস। আবেগের টানে নন্দীগ্রামে লড়াই করার প্রসঙ্গ মেনে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, অন্য কোনও কেন্দ্রে লড়লে হয়তো বেশি ভোটে জিততাম কিন্তু কথা দিলে আমি কথা রাখি। যদিও শেষপর্যন্ত হার মানতে হল তাঁকে।