বীরভূম: বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করেছিল। বাংলার মহিলারা সেই অপমান মেনে নেননি। বাংলার মহিলারা, বাংলার মানুষ জবাব দিয়েছে। আর আমাদের নেত্রী খেলা জানেন, তাঁর কোচিংয়ে আমরা খেলেছি। মন্তব্য অনুব্রত মণ্ডলের।  


জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে অনুব্রত-র হুঁঙ্কার, 'আমাকে দুটো নোটিস দিয়েছিল। আমাকে নজরবন্দি করেছিল, চারদিক থেকে পুলিশ দিয়ে আটকেছিল, আমার নাম কেষ্ট মন্ডল, আমাকে আটকানো মুশকিল আছে। আমি মায়ের দুধ খেয়ে মানুষ হয়েছি। এই জয় মানুষের জয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়।'


বিজয় মিছিল না করার ও এলাকায় শান্তি বজায় রাখার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ভোট প্রসঙ্গে অনুব্রত মন্ডলের সাফ কথা, গদ্দাররা দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। দলকে সামনে রেখে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে অন্য দলে গিয়েছে অনেকে। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আসল যারা থাকার তারাই দলে থেকে ভোট করিয়েছে। পরিসংখ্যানও বলছে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া একশোর বেশি প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছিল তারা। কিন্তু তাদের সাফল্যের পরিমাণ ২০ শতাংশের কাছাকাছি। অনুব্রত মন্ডলের সাফ কথা, ওদের সঙ্গে টাকা ছিল, কিন্তু মানুষ আমাদের সঙ্গেই বরাবর ছিল। তাই ভালোই খেলা হয়েছে।


তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সকলকে করোনা বিধি মেনে চলার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, সকলকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। সমস্ত করোনাবিধি মেনে চলুন। সকলে মাস্ক ব্যবহার করুন। যার পরই তিনি জানান এটা বাংলার জয়, বাংলাই পারে। ২০০-র বেশি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবেই ক্ষমতা দখলের পথে তৃণমূল কংগ্রেস।


বাংলার বিধান প্রসঙ্গে কিছুদিন আগেই এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যয়ী সুরে বলেছিলেন দুই-তৃতীয়াংশ আসন জিতে ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল কংগ্রেস। আবেগের টানে নন্দীগ্রামে লড়াই করার প্রসঙ্গ মেনে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, অন্য কোনও কেন্দ্রে লড়লে হয়তো বেশি ভোটে জিততাম কিন্তু কথা দিলে আমি কথা রাখি। যদিও শেষপর্যন্ত নন্দীগ্রামে হেরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।