কলকাতা: বিজেপির এই নির্বাচনী কার্যালয় খাঁখাঁ করছে। ভারাক্রান্ত মুখে বসে রয়েছেন কয়েকজন দলীয় কর্মী। বেরিয়ে গিয়েছেন বেশিরভাগ নেতারাই। এটা ব্যারিকেটের এপারের ছবি। ওপাড়ে তৃণমূলের দলীয় পতাকা নিয়ে কার্যত বিজয় উল্লাসে মেতেছেন তৃণমূলের কর্মীরা।  সবুজ আবির আর 'খেলা হবে' স্লোগানে উত্তেজনা তুঙ্গে তৃণমূলের। 


দুপুর গড়াতেই বিজেপির কর্মী সমর্থকরা দলে দলে পতাকা নিয়ে চলে আসেন হেস্টিংস চত্বরে। তৃণমূলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জয় হয়েছে বলেই দাবি করছেম তাঁরা। এদিন দুপুর পৌনে একটা নাগাদই ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে ২০০-র ঘর ছুঁয়ে ফেলে তৃণমূল। জয়ের ইঙ্গিত মিলতেই পথে নেমে পড়েন কর্মী সমর্থকরা। যদিও হেস্টিংসের সামবনে ভিড় জমতেই ময়দানে নামে পুলিশ। কোভিড বিধি মাথা রেখে সরিয়ে দেন জমায়েত। 


তবে শুধু হেস্টিংস-ই নয়, কোভিড বিধি না মেনেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিজয় মিছিল করছেন তৃণমূলের কর্মীরা। যদিও পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। 


বিকেল সাড়ে ৩টের হিসেব বলছে ২০২ আসনে এগিয়ে তৃণমূল। প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পেল না বিজেপি। এমনকি এখনও পর্যন্ত তিন সংখ্যাতেও পৌঁছয়নি গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে ২০২১-এর নির্বাচনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রামে সকাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পিছিয়ে থাকলেও দুপুর বাড়ার সঙ্গেই এগিয়ে যান নেত্রী। পিছিয়ে যান নন্দীগ্রামের ভূমিপূত্র শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, ট্রেন্ডিং-এ কার্যত বিপর্যয়ের মুখে সংযুক্ত মোর্চা। এখনও পর্যন্ত মাত্র ২টি আসন তাঁদের ঝুলিতে।


সবমিলিয়ে বাংলার মসনদের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। কমিশন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী বেশ কিছু জায়গায় সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ার কারণে গণনা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ফল পেতে খানিক বিলম্ব হবে বলেই আশঙ্কা।