করুণাময় সিংহ, মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আবহে ফের অস্ত্র উদ্ধার (Arms Recovery) হল মালদায় (Malda)। রতুয়ার নুরপুর ব্রিজ এলাকায় হানা দিয়ে একটি পাইপগান, একটি সেভেন এমএম পিস্তল উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মালদারই ভুতনির এক অস্ত্রপাচারকারীকে (Firearms Trafficking)।
কী ঘটল?
সকালে বোমার শব্দে ঘুম ভাঙল ভাঙড়বাসীর!! ভয়ের ভাঙড়ে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা গুলি!! যুদ্ধক্ষেত্র ক্যানিংয়ে হল বোমাবৃষ্টি!! মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনেও চলল গুলি!! ইন্দাসে ২টি গাড়িতে মিলল ব্যাগ ভর্তি বোমা!! বাদ গেল না মালদা!! সেখানেও উদ্ধার হল অস্ত্র!! পঞ্চায়েত ভোটের আবহে এই ছবি গুলোতেই স্পষ্ট যে বারুদের স্তূপে রয়েছে বাংলা! সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে মালদার রতুয়ার নুরপুর ব্রিজ এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। সেই তল্লাশিতে উদ্ধার হয় একটি পাইপগান, একটি সেভেন এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও দু'রাউন্ড কার্তুজ। গ্রেফতার করা হয়েছে রূপকুমার মাহাতো নামে এক ব্যক্তিকে। পঞ্চায়েতে অশান্তিতে ইন্ধন দিতেই কি আগ্নেয়াস্ত্র মজুত? কপালে চিন্তার ভাঁজ অনেকের। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে এত বোমা-বন্দুক উদ্ধারের ঘটনা চাপে ফেলেছে প্রশাসনকেও।
তপ্ত ভাঙড়...
মঙ্গলবার ভাঙড়ের ভয়ভ্কর ছবির পর বুধবার ক্যানিং। তৃণমূলের মনোনয়ন-কোন্দলে যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল এই এলাকাও। শাসকের গৃহযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হন শাসকদলেরই এক কর্মী! মনোনয়ন ঘিরে শাসকের শাসনে তটস্থ দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই জনপদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবাধ মনোনয়নের আশ্বাস, পুলিশ-প্রশাসনের রণসজ্জা, সবই ফেল মেরে গেল তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের দাঁত-নখ বের করা লড়াইয়ের সামনে। মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনে অগ্নিগর্ভ ক্যানিংয়ে মুহুর্মুহু পড়ল বোমা। চলল গুলি। ক্যানিং এক নম্বর বিডিও অফিস থেকে মেরে-কেটে ৩০০ মিটার দূরে দিনভর দুষ্কৃতীদের দাপট। বাসন্তী হাইওয়ের ওপর এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলল তাণ্ডব। গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী সুনীল হাওলাদার। তাঁর বাঁ পায়ের থায়ে গুলি লাগে। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কলকাতায় রেফার করা হয় তাঁকে। হামলার জন্য যুব তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী। অশান্তির সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। ক্যানিং এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়ির নেতৃত্বে মনোনয়ন জমা কর্মসূচি ছিল শাসক শিবিরের। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অভিযোগ, তাঁদের যাওয়ার পথে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রচুর দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে তৃণমূল প্রার্থীদের ওপর হামলা চালাতে পারে তারা। এমনকি তাঁকে খুন করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। এই পরিস্থিতিতে ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে ক্যানিং হাসপাতাল মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের হাজারখানেক কর্মী সমর্থক। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দাবি করেন, যতক্ষণ না বাসস্ট্যান্ড এলাকা দুষকৃতীমুক্ত করা হবে, ততক্ষণ অবরোধ থেকে সরবেন না তাঁরা। শাসকদলের বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ক্যানিং-বারুইপুর ও ক্যানিং-হেড়োভাঙা রোড। হাসপাতাল মোড়ে প্রকাশ্য রাস্তাতেই শুরু হয়ে যায় তাণ্ডব। লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল ও যুব তৃণমূল শিবিরের লোকজন। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। পুলিশ অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করলেও, সংঘর্ষে লাগাম টানতে পারেনি।
আরও পড়ুন:ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিসের মধ্যে পার্থক্য কী ? প্রতিরোধের উপায় কী ?