রুমা পাল, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) সুস্থ রয়েছেন জেনে স্বস্তিতে রাজ্যপাল (Governor C V Ananda Bose)। ট্যুইটারে লিখলেন সে কথা। এদিন দুর্যোগের মধ্যে পড়ে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার। তড়িঘড়ি নামতে গিয়ে পা-কোমরে চোট লাগে তাঁর। কলকাতায় ফিরেই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছেছেন তিনি। তবে এর মধ্যেই তাঁর খোঁজ নেন রাজ্যপাল। আপাতভাবে সুস্থ রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, দেখে স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি। 



কী ভাবে জখম মুখ্য়মন্ত্রী?
এদিন অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার। মাঝ আকাশে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মুখে পড়ে কপ্টারটি! সেবকের এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করালেন পাইলট।কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমর ও পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার সেরে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে বাগডোগরার উদ্দেশ্য়ে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। দুটি জায়গার মধ্যে সড়কপথে দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। কপ্টারে যেতে মেরেকেটে ১৩মিনিট সময় লাগে। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গাজোলডোবার কাছে পৌঁছে আকাশ কালো করে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। আবহাওয়া এতটাই খারাপ ছিল যে গতিপথ একেবারে ঝাপসা হয়ে যায়। নীচে তখন বৈকুণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গল। সেখানে কপ্টার নামানোর কোনও সুযোগ ছিল না। বিপদ বুঝে বাগডোগরার দিকে না এগিয়ে কপ্টার ঘুরিয়ে নেন পাইলট। শিলিগুড়ির দিকে আকাশ অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার থাকায় সেদিকে এগিয়ে যায় কপ্টার। সেবক এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করানো হয়। জরুরি অবতরণের কারণে কোনও সিঁড়ির ব্যবস্থা ছিল না। কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমর ও পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে খোঁজ নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কী হয়েছে বিশদে জানেন। তবে আপাতভাবে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক আছেন দেখে, নিশ্চিত হন তিনি। পরে, সেবক থেকে সড়কপথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে কলকাতায় আসেন। 

এসএসকেএমে মমতা...
মুখ্যমন্ত্রীর আগমন ঘিরে  চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয় SSKM-এ। সেখানে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, বিধাসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে পৌঁছে এদিন কষ্ট করেই গাড়ি থেকেই নামেন মমতা। সেখানে হুইলচেয়ার আনা হয় তাঁর জন্য। কিন্তু ফিরিয়ে দেন মমতা। এর পর কোনো মতে, পা টেনে টেনেই হেঁটে এগোতে থাকেন মমতা। তাঁর বাঁ হাত ধরে ছিলেন হাসপাতালের এক নার্স। ডানদিকও সাপোর্ট ছিল মমতার। সেই অবস্থাতেই কোনও রকমে পা টেনে ভিতরে ঢোকেন তিনি আপাতত উডবার্ন ব্লকের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনটি বরাদ্দ হয়েছে মমতার জন্য। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই মুহূর্তে মমতার হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।


আরও পড়ুন:তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি থেকে দেড় কেজি বোমার মশলা 'উদ্ধার', ধৃত প্রার্থীর স্বামী