পটনা: লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এই পরিস্থিতিতে বিহারে বিজেপি-বিরোধী মহাজোটে ফাটল ধরার ইঙ্গিত মিলেছে রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের কথায়। তাঁরা আরজেডি-র সঙ্গে আসন রফায় সন্তুষ্ট নন। হাইকম্যান্ডকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বিহারের কংগ্রেস নেতারা।


সদ্য বিজেপি থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া দ্বারভাঙার বিদায়ী সাংসদ প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ বলেছেন, ‘কোনও সাংসদ যদি নিজের কেন্দ্রে লড়াই করার সুযোগ না পান, তাহলে সেটা শুধু সেই প্রার্থীর কাছেই না, গোটা দলের পক্ষেই হতাশাজনক। আমি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে স্পষ্টভাবে চিন্তা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’

বিহারে এবার আরজেডি ২০টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঠিক হয়েছে। কংগ্রেসের জন্য ৯টি আসন ছাড়া হয়েছে। হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা তিনটি, রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি পাঁচটি, বিকাশশীল ইনসান পার্টি তিনটি এবং সিপিআই একটি আসনে প্রার্থী দেবে। দ্বারভাঙায় দলীয় নেতা আবদুল বারি সিদ্দিকিকে প্রার্থী করার কথা জানিয়েছে আরজেডি। এতে ক্ষুব্ধ কীর্তি। তিনি দ্বারভাঙা থেকেই প্রার্থী হতে চান।

কীর্তির পাশাপাশি অন্য কংগ্রেস নেতারাও বিহারে আসন রফা নিয়ে খুশি নন। পাপ্পু যাদবের স্ত্রী সুপাউলের সাংসদ রঞ্জিৎ রঞ্জন বলেছেন, ‘আমাদের সহজেই দমিয়ে রাখা যাবে না, এই কড়া বার্তা দেওয়া দরকার। আমাদের কর্মীদের মনোবল যাতে ধাক্কা না খায়, সে কথা মাথায় রেখেই হাইকম্যান্ডকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর্জি জানাব।’

প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি কৌকব কাদরিও মনে করছেন, তাঁরা যথেষ্ট আসন পাননি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘প্রথম দু’টি পর্বে আমাদের যে আসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেটা মোটেই সম্মানজনক নয়। ঔরঙ্গাবাদে আমাদের লড়াই করার সুযোগ না দিয়ে সেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মানঝির দলের প্রার্থী দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বাকি আসনগুলির মধ্যে দক্ষিণ বিহারে সাসারাম ছাড়া আমাদের আর কোনও আসন ছাড়া হয়নি। তাই হাইকম্যান্ডের কাছে আমার আর্জি, কারাকাতে আমাদের প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হোক।’