নয়াদিল্লি: সেতু বিপর্যয় (Morbi Bridge Collapse) নিয়ে রাজনীতি করতে চাননি রাহুল গান্ধী। কিন্তু তড়িঘড়ি প্রার্থিতালিকায় রদবদল ঘটে যায়। পাটিদার অধ্যুষিত মোরবিতে তার সুফল পাচ্ছে বিজেপি (BJP)। মাস দেড়েক আগে যে মোরবিতে ঝুলন্ত সেতু ছিঁড়ে পড়ে শিশু-সহ শতাধিকের সলিল সমাধি ঘটে, বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Assembly Election 2022) সেখানে এগিয়ে গেলেন  রয়েছেন বিজেপি-র প্রার্থী কান্তিলাল অম্রুতিয়া। 


সেতু বিপর্যয়ের মোরবিতেও এগিয়ে বিজেপি-র প্রার্থী


বিজেপি-র পাঁচ বারের বিধায়ক কান্তিলাল। মোরবি থেকেই পাঁচ-পাঁচ বার বিধায়ক হন। কিন্তু ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ছেড়ে আসা ব্রিজেশ মিশ্রকে সেখানে প্রার্থী করে বিজেপি। গুজরাতের মন্ত্রিত্বও পান তিনি। গত ৩০ অক্টোবর সেতু ভেঙে পড়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের ঘাড়ে দোষ চাপে। টেন্ডার দেওয়ায় দুর্নীতি, কারচুপির অভিযোগ ওঠে। 


ওই একই সময়ে কান্তিলাল খবরের শিরোনামে উঠে আসেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। সেতু বিপর্যয়ের পর নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। উদ্ধারকার্যে হাত লাগান। এর পরই তড়িঘড়ি প্রার্থিতালিকায় রদবদল ঘটানো হয় বলে জানা যায় বিজেপি সূত্রে। ব্রিজেশের পরিবর্তে মোরবিতে ফের প্রার্থী করা হয় কান্তিলালকে। এই মুহূর্তে তিনিই এগিয়ে রয়েছেন দৌড়ে। মোরবিতে পঙ্কজ রংসারিয়াকে প্রার্থী করেছে আম আদমি পার্টি।  সেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী জয়ন্তিলাল জেরজভাই পটেল। 


আরও পড়ুন: Gujarat Election 2022: ভবিষ্যতের নিরাপত্তা বিজেপি-র কাছেই, বললেন গুজরাতে দলের প্রার্থী হার্দিক


ইংরেজ আমলে তৈরি মোরবির ঝুলন্ত সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর ভিড়সমেত ছিঁড়ে পড়ে ওই সেতু। তাতে শিশু, মহিলা-সহ প্রায় ১৪০ জনের মৃত্যু হয়। ওই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করা হয় স্থানীয় প্রশাসনকেই। জানা যায়, ঘড়ি তৈরির সংস্থা ওরেভাকে সেতু মেরামতির বরাত দেওয়া হয়, যাদের এই সংক্রান্ত কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতাই ছিল না। 


শুধু তাই নয়, মেরামতির বরাত নিলেও, জং ধরা রড, পাত, কিছুই বদলানো হয়নি বলে জানা যায়। জংয়ের উপর রং চাপিয়ে দেওয়া হয়। এর পর পৌরসভার তরফে স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় সেতুটি। ঝুলন্ত ওই সেতুতে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষেরই একসঙ্গে যাওয়ার অনুমতি ছিল। কিন্তু তার চেয়ে ঢের বেশি মানুষকে টিকিট বিক্রি করা হয়।


বিপর্যয়ের পর মোরবিতে প্রার্থী বদল করে বিজেপি


দুর্ঘটনার পরও ওই ঘড়ি তৈরির সংস্থার মালিক, কর্তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকি তাঁদের কোনও খোঁজও মেলেনি। বরং সেতুর টিকিট বিক্রেতা, নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় সংস্থার এক ম্যানেজারকে, যিনি আদালতে সেতু বিপর্যয়কে দৈব ঘটনা বলে উল্লেখ করেন।