নয়াদিল্লি : এই নিয়ে টানা সপ্তমবার। ফের একবার গুজরাতের মসনদে বিজেপি। কর্মীরাই চ্যাম্পিয়ন, ট্যুইট করে ধন্যবাদ জানালেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী সোশাল মিডিয়ায় তাঁর বার্তায় লিখেছেন, 'ধন্যবাদ গুজরাত।'


১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায় ১৫৭ টি আসনও জিতেছে বিজেপি। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১৬ আসন। আম আদমি পার্টি পেয়েছে ৪ টি ও অন্যান্য নির্দলরা পেয়েছে ৪ টি আসন। প্রসঙ্গত, পদ্ম ব্রিগেড গুজরাতে জিততে চলেছে ৮০ শতাংশের বেশি আসনে। গুজরাতের ইতিহাসে সবচেয়ে শোচনীয় ফল কংগ্রেসের। গুজরাতে এখনও পর্যন্ত বিজেপির ভোটপ্রাপ্তির হার ৫৩ শতাংশ। কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির হার ২৮ শতাংশ। আপের ভোটপ্রাপ্তির হার ১৩ শতাংশ। প্রসঙ্গত, বিগত ২৭ বছর ধরে গুজরাত বিজেপি-র দখলে। আরও একবার সেখানে ক্ষমতায় ফিরল তারা। ১৯৮৫ সালে কংগ্রেসের ১৪৯ আসনজয়ের লক্ষ্যমাত্রাও এ বার ছাড়িয়ে গেল বিজেপি। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পর এ যাবৎ বিজেপি-র সর্বাধিক আসন সংখ্যা ছিল ১২৭। 


গুজরাতে পদ্ম শিবিরের বিপুল জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইটারে লেখেন, 'ধন্যবাদ গুজরাত। ভোটের ফল দেখে মনে বিভিন্ন আবেগ এসেছে। মানুষ দুহাত তুলে উন্নয়ন-প্রগতির রাজনীতিকে আর্শীবাদ করেছেন। সঙ্গে বুঝিয়ে দিয়েছেন, উন্নয়নের গতি ত্বরাণ্বিত করতে হবে। গুজরাতের জন-শক্তির সামনে মাথা নত করছি।'


ধন্যবাদ জ্ঞাপনের যে বার্তার সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, 'গুজরাতের সমস্ত পরিশ্রমী কার্যকর্তাই আসল চ্যাম্পিয়ন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া এই বিপুল জয় সম্ভব ছিল না। বিজেপির কার্যকর্তারাই দলের আসল শক্তি।'






ঘাটলোদিয়া কেন্দ্র থেকে জয়ী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। সন্ধে বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী।  ১২ ডিসেম্বর গুজরাতে শপথগ্রহণ। শপথে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 


 




আরও পড়ুন- তুষ্টিকরণের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান গুজরাতবাসীর, ঐতিহাসিক জয়ে প্রতিক্রিয়া শাহের