ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রবিবার তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোটের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে শ্যামপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তী। প্রার্থী ঘোষণার পর এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কী বললেন তনুশ্রী?
কী বলবেন ঘোষণা শুনে?
আমি সত্যিই খুব গর্বিত। ভারতীয় জনতা পার্টির মতো একটা দল, আমাকে সামিল করেছে তাদের পরিবারের মধ্যে। এই পরিবার মানুষদের পরিবার। নিজেকে ধন্য মনে করছি যে এত বড় দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি শ্য়ামপুরের মানুষদের কাছে যাব। আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না। কোথা থেকে দেওয়া হবে সেটাই ভাবছিলাম। আমার খুব ভাল লাগছে যে হাওড়ার মতো একটা জায়গায় প্রার্থী হয়েছি।
আপনি প্রার্থী হবেন এই ইঙ্গিত কি দল দিয়েছিল?
একটা কথা কানে এসেছিল। অনেকেই বলছিল। কিন্তু যতক্ষণ না দল ঘোষণা, হেড অফিস থেকে বলা হচ্ছে ততক্ষণ নিশ্চিত হওয়া যায় না। আমি কথায় নয় কাজে বিশ্বাস করি। ছোটবেল থেকে এমন পরিবারে বড় হয়েছি। কাজটা অনেক বড় করব। কিন্তু থাকব সাধারণ ভাবেই। এভাবেই থাকতে পছন্দ করি। মানুষের কাছে যাব। আমার মা, মাসিদের আশীর্বাদ, বাবা ভাইদের আশীর্বাদ নেব এর থেকে বড় আর কী হত পারে। ভাইবোনেদের ভালবাসা নেব এবং দেব এর থেকে বড় কিছু হতে পারে না। এটা আমার কাছে ভগবানের আশীর্বাদের মতো।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের চেনা মুখ তনুশ্রী। সম্প্রতি হেস্টিংস দফতরে দিলীপ ঘোষের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তনুশ্রী ছাড়াও ওই একইদিনে বিজেপিতে যোগ দেন সিঙ্গুরের বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তথা সাতগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক সোনালি গুহ, বিদায়ী বিধায়ক জটু লাহিড়ী, ফুটবলার তথা বিদায়ী বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস, সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক শীতল সর্দার। দলে যোগ দিয়ে তনুশ্রী বলেছিলেন, নারী দিবসে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলাম।