I.N.D.I.A Heavyweight Candidates Result Live: বরানগরে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্ধ্যোপাধ্যায়
I.N.D.I.A Alliance Winners List Live: বিজেপি বিরোধী জোটের তারকা প্রার্থীরা কে, কোথায়, কেমন ফল করলেন, দেখুন একনজরে।
কলকাতা দক্ষিণে জয়ী মালা রায়
কলকাতা উত্তরে প্রাক্তন দলীয় সতীর্থ তথা বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কে হারিয়ে জিতলেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বসিরহাটে বিজেপির রেখা পাত্রকে হারিয়ে জয়ী তৃণমূলের হাজি নুরুল ইসলাম
বাংলায় কংগ্রেসের মান রাখলেন ইশা খান চৌধুরী।
১০ বছর বাদে গুজরাতে লোকসভা ভোটে আসন জয় কংগ্রেসের। বনসকণ্ঠ থেকে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে জিতলেন কংগ্রেসের গেনিবেন ঠাকোর।
উত্তর পূর্ব দিল্লিতে পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া কুমার।
তিরুঅনন্তপুরমে জয়ী কংগ্রেসের শশী তারুর। বিজেপি-র রাজীব চন্দ্রশেখরকে পরাজিত করলেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের বরামুল্লায় পরাজিত ওমর আবদুল্লা। নির্দল প্রার্থী আব্দুল রশিদ শেখ ওমকে হারালেন।
বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রেও তৃণমূলের জয়। বরানগরে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্ধ্যোপাধ্যায়। ৮ হাজার ১৮ ভোটে হার বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের।
ডায়মন্ড হারবারে ৭ লক্ষ ১ হাজার ভোটে জয়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আসানসোলে ৬৩ হাজার ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহা।
১ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি ভোটে যাদবপুরে এগিয়ে তৃণমূলের সায়নী ঘোষ।
ডায়মন্ড হারবারে ৬ লক্ষেরও বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘাটালে ৭০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূলের দেব।
কোচবিহারে ১০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া।
আসানসোলে ৩৪ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা।
ডায়মন্ড হারবারে ৩ লক্ষ ২৪ হাজার ভোটে এগিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার ভোটে এগিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা দক্ষিণে ৯৮ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী মালা রায়।
ঘাটালে ৩৭ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী দেব।
মেদিনীপুরে ১১ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূলের জুন মালিয়া।
বহরমপুরে তৃতীয় স্থানে কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান দ্বিতীয় স্থানে।
ডায়মন্ড হারবারে ২ লক্ষের বেশি ভোটে এগিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
৭৫ হাজার ভোটে যাদবপুরে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ।
শ্রীরামপুরে ৫৬ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রায়বরেলী এবং ওয়েনাডে ১ লক্ষের বেশি ভোটে এগিয়ে রাহুল গাঁধী।
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে পিছিয়ে কংগ্রেসের কানহাইয়া কুমার।
তিরুঅনন্তপুরমে পিছিয়ে গেলেন কংগ্রেস প্রার্থী শশী তারুর।
ঘাটালে ফের এগিয়ে গেলেন তৃণমূলের দেব।
জম্মু ও কাশ্মীরের বরামুল্লায় পিছিয়ে গেলেন ওমর আবদুল্লা।
ঘাটালে পিছিয়ে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী দেব। এগিয়ে গেলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
তমলুকে বিজেপি-র অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।
হুগলিতে এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কৃষ্ণনগরে ৬ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র।
যাদবপুরে ৬৭০০ ভোটে এগিয়ে সায়নী ঘোষ। সিপিএম-এর সৃজন ভট্টাচার্য তৃতীয় স্থানে।
বহরমপুরে পিছিয়ে গেলেন ইউসুফ পাঠান। তৃতীয় স্থানে চলে গেলেন তিনি।
জয় নিয়ে আশাবাদী। রাতে ভালই ঘুমিয়েছেন, টেনশন করছেন না একেবারেই। সবকিছু ভাল হবে বলেই আশা হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়েরয
দুর্গাপুর-বর্ধমানে এগিয়ে বিজেপি-র দিলীপ ঘোষ।
আসানসোলে এগিয়ে গেলেন তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহা।
বহরমপুরে পিছিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান।
আসানসোলে পিছিয়ে তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহা।
উত্তরপ্রদেশের কনৌজে এগিয়ে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব।
ঘাটালে এগিয়ে তৃণমূলের দেব।
অসমের জোরহাটে এগিয়ে কংগ্রেসের গৌরব গগৈ।
দমদমে এগিয়ে তৃণমূলের সৌগত রায়।
বীরভূমে এগিয়ে শতাব্দী রায়।
জম্মু ও কাশ্মীরের বরামুল্লায় এগিয়ে ওমর আবদুল্লা।
কৃষ্ণনগরে পিছিয়ে পড়লেন মহুয়া মৈত্র।
পশ্চিমবঙ্গে মোট ১১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।
গুরুগ্রামে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী রাজ বব্বর।
বহরমপুর আসনে এগিয়ে কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী।
চণ্ডীগড়ে এগিয়ে কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি।
মুর্শিদাবাদে এগিয়ে সিপিএম-এর মহম্মদ সেলিম।
NCP প্রার্থী সুপ্রিয়া সুলে বরামতীতে এগিয়ে রয়েছেন।
যাদবপুরে এগিয়ে তৃণমূলের সায়নী ঘোষ।
তিরুঅনন্তপুরমে এগিয়ে কংগ্রেসের শশী তারুর।
ডায়মন্ড হারবারে এগিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরপ্রদেশের মইনপুরে এগিয়ে অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদব।
উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীতে এগিয়ে রাহুল গাঁধী। কেরলের ওয়েনাড আসনেও এগিয়ে রাহুল।
'একজোট হয়ে লড়তে হবে সত্যের লড়াই, স্বাধীনতাপ্রাপ্তির অধিকার আমাদের সকলের। ভোটগণনাকে ঘিরে সজাগ, সতর্ক, সচেতন এবং সাবধান থাকুন। ভোট দেওয়া যেমন মানুষের অধিকার, সেই ভোটকে রক্ষার দায়িত্বও রয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ অবস্থান নেবে বলেই আশাবাদী। আজকের দিনে কমিশনই পরমেশ্বর', সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন অখিলেশ যাদব।
আগামী পাঁচ বছরের গতিপথ নির্ধারণ আজই। সকাল সকাল গণনাকেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা মহুয়া মৈত্র।
লোকসভা নির্বাচনে দুই কেন্দ্রে লড়াই করেছেন রাহুল গাঁধী। কেরলের ওয়েনাড এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। কোথায় কেমন ফল করলেন, জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: বুথফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট একযোগে খারিজ করে দিয়েছেন সকলেই। লোকসভা নির্বাচনে NDA-কে হারিয়ে কেন্দ্রে সরকার গড়া নিয়ে আশাবাদী বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A জোট। সেই লক্ষ্যপূরণে এবছর প্রচারে কোনও খামতি রাখেনি I.N.D.I.A জোট। নিজ নিজ দলের প্রার্থীদের প্রচার যেমন ঢাকঢোল পিটিয়ে হয়েছে, তেমনই শরিক দলের প্রার্থীদের হয়েও প্রচারে গিয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। আগামী পাঁচ বছর দিল্লির মসনদে কে থাকে, তা ফলঘোষণা সম্পন্ন হলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে এবারের নির্বাচন I.N.D.I.A জোটের হেভিওয়েট প্রার্থীদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। (Heavyweight Candidates Result Live) রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav), শশী তারুর (Shashi Tharoor), দীপক অধিকারী ওরফে দেব (Dev in Ghatal), ওমর আবদুল্লাদের (Omar Abdullah) রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকাংশেই নির্ভর করছে এবারের নির্বাচনের ফলাফলের উপর। (I.N.D.I.A Alliance Winners Losers Live Updates)
এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য। গত ১০ বছরে কম ঘাত-প্রতিঘাত পোহাতে হয়নি তাঁকে। পরিবারতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহের মুখে বার বার তাঁর নাম উঠে এসেছে। কখনও 'যুবরাজ', 'শাহজাদা' বলে কটাক্ষ করা হয়েছে, কখনও আবার 'পাপ্পু' বলে সম্বোধন করে তাঁর রাজনৈতিক অস্তিত্ব মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যেই নিজেকে ঘষেমেজে নিয়েছেন রাহুল। 'ভারত জোড়ো যাত্রা', 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'র মাধ্যমে হেঁটে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি, অনেকটাই পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন নিজের ভাবমূর্তি। (I.N.D.I.A Alliance Winners List Live)
তবে এই পদযাত্রা যেমন জাতীয় রাজনীতিতে রাহুলকে প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছে, তেমনই পুরনো মানহানি মামলায় সাংসদ পদও বাতিল হয় তাঁর। সরকারি বাংলো ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়। মামলা-মদকদ্দমা করে সংসদে প্রবেশের অধিকার বের করে আনতে হয় তাঁকে। এর ফলে মানুষের সমবেদনা কুড়োন রাহুল। কিন্তু ওয়েনাডের পাশাপাশি, মা সনিয়া গাঁধীর ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলী কেন্দ্র থেকেও এবার প্রার্থী হয়েছেন রাহুল, যা ভাবাচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে অমেঠীতে স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজিত হলে ওয়েনাড মুখরক্ষা করেছিল রাহুলের। অমেঠীতে ফের এলে না হয় কথা ছিল, কিন্তু রায়বরেলীতে যদি আশানুরূপ ফল করতে না পারেন রাহুল, অথবা রায়বরেলীর জন্য যদি ওয়েনাডকে পিঠ দেখান, তা রাহুলের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে গন্য হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আবার I.N.D.I.A জোট যদি ভোটবাক্সে ভাল ফল করে, সেক্ষেত্রে রাহুল আগামী দিনে কী ভূমিকা পালন করবেন, সেদিকেও তাকিয়ে সকলে। ফলে এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাহুলের জন্য।
একই কথা প্রযোজ্য সংসদে জ্বালাময়ী ভাষণের জন্য পরিচিত তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের ক্ষেত্রেও। নরেন্দ্র মোদি সরকারের ঘোর সমালোচক, আদানি-মোদি সংযোগ নিয়ে সংসদে সরব হওয়া মহুয়া বরাবরই খবরের শিরোনামে থেকেছেন। কিন্তু সেই আদানিদের নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করতে তিনি টাকা এবং উপহার পেয়েছিলেন বলে গত বছর অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সেই নিয়ে জল এতদূর গড়ায় যে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়াকে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। গোটা ঘটনায় মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কংগ্রেস, সিপিএম থেকেও সমর্থন পেয়েছেন মহুয়া। এবারে আবারও কৃষ্ণনগর থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। মহুয়াকে ঠেকাতে আবার সেখানে বিজেপি প্রার্থী করেছে রাজ পরিবারের সদস্য অমৃতা রায়কে। সবমিলিয়ে এবারের লোকসভা নির্বাচন মহুয়ার জন্য প্রেস্টিজ ফাইট।
পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কোথায় দাঁড়িয়ে, সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পর তৃণমূলের রাশ যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই উঠবে, অলিখিত ভাবে হলেও, তা একরকম ঠিকই হয়ে গিয়েছে। নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার থেকেই এবছর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অভিষেক। তবে শুধু জিতলেই হল না, ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক ঠিক কত ভোটে জিতছেন, তার উপর মমতার উত্তরসূরি হিসেবে তো বটেই, সর্বভারতীয় স্তরে রাজনীতিক হিসেবে অভিষেকের গ্রহণযোগ্যতাও নির্ভর করছে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দলের শাখাবিস্তারে এযাবৎ তেমন সাফল্য পাননি অভিষেক। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব পাওয়া থেকে লাগাতার বিরোধীদের নিশানায় থাকা অভিষেক এবারের লোকসভা নির্বাচনেও আগাগোড়া খবরে থেকেছেন। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বিজেপি-কে বিসর্জন দেওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। তাই ডায়মন্ড হারবারে কী ফল করেন অভিষেক, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।
একদা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অখিলেস যাদব। এবারে ফের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। I.N.D.I.A জোটের অন্যতম সূত্রধর তিনি। সমাজবাদী পার্টির রাশ আগেই হাতে তুলে নিয়েছেন, দলে কাটছাঁট করতেও দ্বিধা করেননি। বাবা মুলায়ম সিংহ যাদবের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে এই প্রথম বড় লড়াই অখিলেশের। উত্তরপ্রদেশে এবারে বিজেপি প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করতে পারবেন না বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। নিজের পুরনো কেন্দ্র কনৌজে তিনি এবার কেমন ফল করেন, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব বরাবর সৌজন্যের রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। সেই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে একচুল সরেননি তিনি। ঘাটাল থেকে এবার তৃতীয় বারের জন্য ভোটে লড়ছেন দেব। তাঁর বিপরীতে সতীর্থ হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ভোটের দিন ঘাটালে দেবকে ঘিরে যে উসাহ চোখে পড়ে, তা আশা জাগালেও, কেন্দ্রীয় সংস্থার ডাক পাওয়া দেব বিতর্কও এড়াতে পারেননি। তাই রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা করেও মত পাল্টানো দেব সাফল্য ধরে রাখতে পারেন কি না, জানতে মুখিয়ে তাঁর অনুরাগী থেকে বিরোধী শিবিরের নেতারাও।
এবারের লোকসভা নির্বাচন অস্তিত্বরক্ষার লড়াই কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, শশী তারুরের জন্যও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অধীরের দ্বৈরথ নিয়ে ইতিমধ্যেই ভর্ৎসনার সুর শোনা গিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের গলায়। কয়েক বছর আগে বিদ্রোহী নেতাদের তালিকায় নাম লিখিয়ে হাইকম্যান্ডের সমালোচক হিসেবে উঠে আসেন শশীও। নির্বাচন চলাকালীন তাঁর সহযোগীর আর্থিক লেনদেনও খবরে উঠে আসে। কংগ্রেসের এই দুই অভিজ্ঞ নেতা ভোটে জিতে তাঁর জবাব দিতে পারেন কি না, আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার কাছেও এই নির্বাচন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। উপত্যকার রাজনীতিতে আবদুল্লা পরিবারের ভবিষ্যৎ ঠিক করে দেবে এই নির্বাচন। বরামুল্লা থেকে ভোটে লড়ছেন ওমর।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -