কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি চলছেই। বুধবারও অশান্ত ভাঙড়। সেই আবহেই হঠাৎ নবান্নে ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে তিনি দেখা করতে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু কী কারণে এই সাক্ষাৎ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাই এই সাক্ষাৎ ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা (Nabanna)।


পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই দফায় দফায় অশান্তি ছড়িয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। গত দুই দিন ধরে অশান্ত নৌশাদের এলাকা ভাঙড়ও। বুধবার পঞ্চয়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পঞ্চম দিন। এ দিন সকাল থেকেই অশান্ত ভাঙড়। উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাসন্তী হাইওয়েতেও। 


সেই আবহেই দুপুরে হঠাৎ নবান্নে হাজির হন নৌশাদ। সরাসরি মমতার সঙ্গে তিনি দেখা করতে পৌঁছেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এ নিয়ে নিজে কিছু জানাননি নৌশাদ। তবে সূত্রের খবর, ISF প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে কেন বাধা দিতে হচ্ছে, এই প্রশ্ন নিয়েই মমতার সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছেছেন নৌশাদ।


অন্য দিকে, নৌশাদ যখন নবান্নে পৌঁছন, সেই সময়ই ISF-এর মামলাকারী তিন প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য সবরকম সাহায্যের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কাশীপুর এবং ভাঙড় থানাকে সেই মর্মে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। 


অন্য কোনও প্রার্থী যদি একই অভিযোগ করেন সেক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ। মিনাখাঁয় হামলার ঘটনায় বসিরহাটের পুলিশ সুপারের রিপোর্টও তলব করে আদালত।


আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: ভোটের মুখে ফের দলবদল, তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ একাধিক নেতাকর্মীর


উল্লেখ্য, বুধবার, মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনেও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। গতকালের ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর, আজও দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল বিডিও অফিস চত্বর। সকাল ১১টায় মনোনয়ন শুরু হতে না হতেই আবার বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে ভাঙড় এক নম্বর বিডিও অফিস চত্বর। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় বিধিনিষেধকে হেলায় উড়িয়ে বাঁশ, লাঠি, গাছের ডাল হাতে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হাজির হন তৃণমূল এবং যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।


রুমালে মুখ ঢেকে ডান্ডা হাতে রাস্তায় দেখা যায় তাঁদের। মুখে মুখে ঘুরছিল অ্যাকশনের কথা। প্রকাশ্যেই ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও শোনা যায় গলায়। অভিযোগ উঠছে, এ দিন সকাল থেকেই কার্যত তৃণমূলের দখলে গোটা বিডিও অফিস চত্বর। নেতৃত্বে রয়েছেন শাসক দলের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল।