কলকাতা: কর্ণাটক জয়ের উচ্ছ্বাস বঙ্গেও (Karnataka Election Result 2023)। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে জোর নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এরপরই ব্যাখ্য়ামূলক প্রস্তাব দিলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা।


এদিন ট্যুইট করে কুণাল ঘোষ বলেন, 'কর্ণাটক। এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা। ১) নো ভোট টু বিজেপি স্লোগান কাজ করছে। মানুষ রাজ্য বিজেপি ও দিল্লি থেকে আসা মুখগুলিকে প্রত্যাখ্যান করছেন। ২) বিজেপি বিরোধীরা যে যেখানে শক্তিশালী, তাঁদের সামনে রেখেই বিকল্প জোট হোক। এরপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইটারে ট্যাগ করে, তিনি বলেন এই ফর্মুলার প্রাসঙ্গিকতা প্রমাণিত হচ্ছে।'  


 অপরদিকে, জয়ের ইঙ্গিত পেতেই দল ভাঙানো রুখতে বাড়তি সতর্কতা কংগ্রেস শিবিরে। জয়ী বিধায়কদের তামিলনাড়ুতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে দল। শুধু তা-ই নয়, শাসকদল ডিএমকের সঙ্গেও এজন্য যোগাযোগ রাখা হচ্ছে কংগ্রেসের তরফে। এমনকী এদিন সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুতেও নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে খবর। ২০১৮-য় কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপি ১০৪টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও, সরকার গড়তে পারেনি। কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে জেডিএস। মুখ্যমন্ত্রী হন এইচ ডি কুমারস্বামী। কিছুদিনের মধ্যেই পট পরিবর্তন হয়।


কংগ্রেস ও জেডিএস-এর ১৭ জন বিধায়ক একসঙ্গে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করে দেন স্পিকার। কংগ্রেস-জেডিএস সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় সরকার গড়ে বিজেপি। বিধায়কদের এই বিদ্রোহের নেপথ্যে বিজেপির হাত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। শেষপর্যন্ত কংগ্রেস-জেডিএসের বিদ্রোহী বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিয়ে উপ নির্বাচনের লড়াইয়ে নামেন।


উপনির্বাচনে ১৫টির মধ্যে ১২টি আসনেই জয়ী হয় বিজেপি।জয়ের গন্ধ পেতেই, কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার একটি ভিডিও ট্যুইট করা হয়েছে। তাতে, কর্ণাটকের এই ফলাফলের জন্য দলীয় নেতাকে কৃতিত্ব দিয়ে লেখা হয়েছে, 'আমি অদম্য, আমি প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী। হ্যাঁ, আজ আমাকে থামানোও যাবে না।'




প্রসঙ্গত, কর্ণাটক জয়ের আগাম উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের জেলায় জেলায়। দুর্গাপুরের প্রান্তিকা পাঁচমাথা মোড় এলাকায় জেলা কংগ্রেস পার্টি অফিসের সামনে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে চলল আবির খেলা। বিলি করা হল মিষ্টি। শিলিগুড়ির হাশমি চকে ব্যান্ড বাজিয়ে বিজয় মিছিল করলেন কংগ্রেস কর্মীরা।



আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


জেলা কংগ্রেসের পার্টি অফিসের সামনে থেকে শুরু করে শহর পরিক্রমা করে মিছিল। নেতৃত্বে ছিলেন দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার।অধীর-গড়ে কংগ্রেসের বিজয়োৎসব। বহরমপুরে পার্টি অফিসের বাইরে আবির মাখলেন কংগ্রেস কর্মীরা। ব্যান্ড বাজিয়ে চলল নাচ।পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের তরফে মিছিল। আবির মাখিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে চলল বিজয়োৎসব পালন করলেন কংগ্রেস কর্মীরা।