বিজেন্দ্র সিংহ,ব্যাঙ্গালোর: কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রীর (CM) চেয়ারে বসবেন কে? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার? নাকি অন্য কেউ? চূড়ান্ত করবেন কংগ্রেস সভাপতি। ব্যাঙ্গালোরের বৈঠকে নেওয়া হল সিদ্ধান্ত। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ৩ জন পর্যবেক্ষক। শেষে যেন মধ্যপ্রদেশ না হয়ে যায়, কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। 


ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দৌড়তে দেখা গিয়েছিল কর্ণাটক কংগ্রেসের দুই মহারথী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারকে। এই জুটির দৌড়েই কর্ণাটকে বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু, কন্নড়ভূমে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের দৌড়ে কে এগিয়ে? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার? না কি অন্য কেউ? এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কংগ্রেস সভাপতিই।


২০১৮-তে জেডিএসের সঙ্গে জোট করে কর্ণাটকে সরকার গড়ে কংগ্রেস। একবছরের মধ্যে দু-দলের বিধায়ক ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। এবার ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৩-র থেকে আরও ২২টি আসন বেশি পেয়েছে কংগ্রেস। অর্থাৎ বিজেপির দ্বিগুণের বেশি আসন। ফলে একার জোরেই সরকার গড়তে পারবে কংগ্রেস। তা সত্বেও দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির মাথাব্যথা, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে, তা নিয়ে। রবিবার সন্ধেয় ব্যাঙ্গালোরে কংগ্রেস সভাপতির পাঠানো ৩ পর্যবেক্ষক সুশীলকুমার শিন্ডে, জিতেন্দ্র সিং এবং দীপক বাবারিয়ার উপস্থিতিতে বৈঠক করেন কংগ্রেস বিধায়করা। সেই সময় বাইরে ভিড় করেছিলেন দুই নেতার অনুগামীরা।



আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


বিজেপি সাংসদ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সবে তো খেলা শুরু, কয়েকমাস অপেক্ষা করুন। আমার মনে হয়, যে সমস্ত লোকেরা লাফাচ্ছে, বিশেষ করে তৃণমূল, যারা লাফাচ্ছে কংগ্রেস সরকার গঠন নিয়ে, শেষে এটা যেন মধ্যপ্রদেশ না হয়ে যায়। সিদ্দারামাইয়া কুরুবা সম্প্রদায়ের বড় নেতা। আর ডি কে শিবকুমার কংগ্রেসের ভোক্কালিগা মুখ। সিদ্দারামাইয়া ৯ বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। আর ডি কে শিবকুমার এই নিয়ে জিতলেন ৮ বার। সিদ্দারামাইয়া যখন মুখ্যমন্ত্রী। তখন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন ডি কে শিবকুমার। দু-জনেই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ। কিন্তু, নেতৃত্বের প্রশ্নে, এই দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের চোরাস্রোতের তত্ত্ব বারবার সামনে এসেছে। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব কাকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেন, সেটাই দেখার বিষয়।