ভাঙড় : এবার নৌশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধেও খুনের মামলা পুলিশের। তৃণমূল কর্মী রাজু নস্কর খুনের ঘটনায় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা। নৌশাদ সহ ৬৮ জন আইএসএফ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। খুন ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। ১৫ জুন মনোনয়ন-সংঘর্ষে খুন হন তৃণমূল কর্মী রাজু নস্কর। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন নৌশাদ। 'ভয় পাই না', বলে পাল্টা দাবিও করেছেন তিনি।
এর আগে ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, তাঁর ছেলে হাকিমুল-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে কাশীপুর থানার পুলিশ।
আব্রাহাম লিঙ্কন বলেছিলেন, Elections Belong to the People, অর্থাৎ মানুষের জন্যই ভোট। কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে শুধু মনোনয়ন পর্বেই যদি পাঁচজন মানুষের প্রাণহানি হয়, তবে ভোট কতটা মানুষের জন্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। মনোনয়ন পর্বে ভাঙড়ে প্রাণ ঝরেছে ৩ জনের। তার মধ্যে রয়েছেন ২ জন তৃণমূল কর্মী ও একজন ISF কর্মী। ভাঙড়েই পানাপুকুর এলাকা থেকে উদ্ধার হয় তৃণমূল কর্মী রাজু নস্করের মৃতদেহ। ঘটনায় দিনকয়েক আগে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে তাঁর পরিবার।
মৃত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীর বক্তব্য, 'ওঁকে মিটিংয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তৃণমূলের লোকেরা এসে ডেকে নিয়ে গেল ! ডেকে নিয়ে ওকে হুমকি দিয়ে মিটিংয়ে নিয়ে গেছে, যদি না যাও তোমার বাড়ি-ঘর ভেঙে দেব। তাই, ও মনে হয় ভয়ে গিয়েছিল।'
মৃত তৃণমূল কর্মীর মেয়েও বলেন, 'ইচ্ছা করে আমার বাবাটাকে নিয়ে গিয়ে মার্ডার করেছে। ভাল মানুষটাকে নিয়ে গিয়ে মার্ডার করেছ। মাথায় হাত বুলিয়ে। নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মদ খাইয়েছিল। মদ খাইয়ে পিস্তল আর বোমা হাতে দিয়ে দিয়েছিল।'
ভাঙড়ের সেই অশান্তি পর্বের পর রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। যদিও পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে হিংসার এই ছবি এখনও চলছে। এদিকে ভাঙড়ে মনোনয়ন-সন্ত্রাসে নিহত তৃণমূল কর্মী রাজু নস্করের বাড়িতে দিনকয়েক আগে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। ভাঙড়ের হাটগাছিতে নিহত কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ও ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক ও ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লা।
আরও পড়ুন ; 'মদ খাইয়ে হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল', বিস্ফোরক অভিযোগ ভাঙড়ে মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের