নয়াদিল্লি: অমেঠি থেকে রাহুল গাঁধীর মনোনয়ন পেশের পরই আবেগঘন প্রিয়ঙ্কা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর গড় হিসেবে পরিচিত উত্তরপ্রদেশের অমেঠি নিয়ে প্রিয়ঙ্কার প্রতিক্রিয়া, “কিছু সম্পর্ক হয় আত্মিক। আজ আমার ভাইয়ের মনোনয়ন পেশের সময় গোটা পরিবার উপস্থিত ছিল। এই স্থান আমার বাবার কর্মভূমি, আমাদের পরিবারের কাছে পবিত্রস্থান।”
প্রসঙ্গত, বুধবারই অমেঠি কেন্দ্রে নিজের মনোনয়ন পেশ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। এদিন গৌরিগঞ্জে জেলা আধিকারিকের কাছে মনোনয়ন জমা করেন তিনি। তাঁর আগে একটি রোড শো-ও করেন কংগ্রেস সভাপতি। সেখানে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। স্বামী রবার্টের সঙ্গে দুই সন্তানকে নিয়ে মিনিট্রাকের ওপের রাহুলের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। রাহুলের মনোনয়ন পেশের দিন ছেলের সঙ্গে ছিলেন সনিয়াও।
উল্লেখ্য, ২০০৪ থেকে এই লোকসভা থেকেই জয়ী হয়েছেন রাহুল গাঁধী। অতীতে এই কেন্দ্র থেকে লড়েছেন তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী ও তাঁর মা সনিয়া। পরে রায়বরেলি থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। এবার প্রথমবার দুই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাহুল। কেরলের ওয়েইনাড় ও উত্তরপ্রদেশের অমেঠি, এই দুই কেন্দ্রেই দলের প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা। কেরলে তাঁর লড়াই হবে সিপিআই প্রার্থী পি সুনীরের বিরুদ্ধে। আর অমেঠিতে তাঁর বিপক্ষে লড়বেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ২০১৪ সালেও রাহুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন স্মৃতি। তবে জিততে পারেননি। তারকা প্রার্থী স্মৃতিকে হারিয়েই অমেঠি থেকে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিলেন রাহুল।