নয়াদিল্লি: ফের একবার নির্বাচন কমিশনের রোষে সপা নেতা আজম খান। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। দিন কয়েক আগেই বিজেপি প্রার্থী জয়া প্রদার উদ্দেশে ‘অশ্লীল’ মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছিলেন আজম খান। ব্যান হয়েছিলেন ৭২ ঘণ্টার জন্য। এবার মুসলিমদের জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন তিনি। তাঁর বাক্যবাণ থেকে রেহাই পাননি রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিংহও। অপরাধীরা সাংবাধিনাক পদে বসে রয়েছে, কল্যাণ সিংহর বিরুদ্ধে এমনই আক্রমণ করেছেন আজম খান। ভোট কর্মীদের উদ্দেশেও অগ্নিবাণী শোনাচ্ছেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ব্যান করল নির্বাচন কমিশন।


বুধবার সকাল ৬টা থেকেই তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে কোনও নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারবেন না আজম খান। এমনকি কোনও সংবাদমাধ্যমকেও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারবেন না তিনি। এই একই ধরণের অপরাধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে গুজরাতের বিজেপি সভাপতি জিতুভাই ভগানির বিরুদ্ধেও। তাঁকে ৭২ ঘণ্টার জন্য ব্যান করা হয়েছে। ভগানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ‘অসংযমী’ বক্তব্য পেশ করছেন।


এই দুই নেতার বিরুদ্ধেই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। আজম খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী মামলাও দায়ের হয়েছে। এরপরও তিনি নিজেকে সংশোধন না করলে তাঁর বিরুদ্ধে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।


প্রসঙ্গত, আজম খান ২০১৪ সালের নির্বাচনেও গরমাগরম বক্তব্যের জন্য শিরোনামে এসেছিলেন। যদিও নিজের বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন এই সপা নেতা।