আম্বালা (হরিয়ানা): নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার। তাঁর বাবা প্রয়াত রাজীব গাঁধীকে প্রকাশ্যে ‘ভ্রষ্টাচারী নম্বর ওয়ান’ বা ‘এক নম্বর দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলায় বিরোধী শিবির থেকে প্রবল সমালোচনা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর। আজ আম্বালার কংগ্রেস প্রার্থী কুমারী শেলজার সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় এজন্য নাম না করে মোদিকে উদ্দেশ্য করে মহাভারতের দুর্যোধনেরও ‘এমন ঔদ্ধত্য’ ছিল বলে মন্তব্য করেন প্রিয়ঙ্কা। মোদিকে মানুষের নজর ‘ঘোরানোর’ পরিবর্তে উন্নয়নের মতো ইস্যুতে নির্বাচনে লড়ার জন্যও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা। বলেন, সাহস থাকলে উনি বেকারি, কর্মসংস্থান, উন্নয়ন, কৃষক, মহিলাদের ইস্যুতে নির্বাচনে লড়ুন।

প্রিয়ঙ্কা মোদিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এই দেশ কখনও ঔদ্ধত্য, অহঙ্কারকে ক্ষমা করেনি। ইতিহাস এর সাক্ষী। মহাভারতেও এর নজির আছে। দুর্যোধনেরও এরকম ঔদ্ধত্য ছিল। ভগবান কৃষ্ণ তাঁকে বোঝাতে গেলে তাঁকে বন্দি করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

হিন্দি কবি রামধারী সিংহ দিনকরের একটি কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিয়েও প্রিয়ঙ্কা বলেন, জব নাশ মনুষ পর ছাতি হ্যায়, পহলে বিবেক মর জাতা হ্যায় (কারও পতনের আগে সবার আগে বিনাশ হয় বিবেচনা বোধের)।
প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য, মানুষের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বলা উচিত, ৫ বছরে কী কী করেছেন, ভবিষ্যতে কী করবেন। সরাসরি মোদিকে নিশানা করে তিনি বলেন, আপনি প্রধানমন্ত্রী, বিজেপির বড় নেতা। নিশ্চয়ই এটা আপনার বোঝা উচিত, নইলে মানুষ আপনাকে শিক্ষা দেবে। এই নির্বাচন বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের পারফরম্যান্স নিয়ে, কিন্তু ব্যর্থতা ঢাকতে ওরা দেশবাসীর নজর ঘোরাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, দেশের জনগণ বিচক্ষণ। আপনি ওদের বিভ্রান্ত করতে পারবেন না। ওরা প্রতিটি নেতাকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করে, আপনাকেও করবে।
মোদির প্রয়াত রাজীব গাঁধীকে নিয়ে মন্তব্যের পাল্টা প্রিয়ঙ্কা বলেন, বিজেপি নেতারা প্রচারে বেরিয়ে ইস্যু নিয়ে কথা বলেন না। কেন আগের দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করেননি, বলেন না, অন্য প্রসঙ্গ টেনে আনেন। কখনও বলেন, হাতি ৭০ বছর ধরে ঘুমোচ্ছে, কখনও শহিদদের ব্যবহার করে ভোট চান, অন্য সময় আমার পরিবারের লোকজনকে অপমান করেন, যাঁরা জীবন বলিদান করেছেন। কিন্তু ওঁরা আপনাদের চাহিদা, সমস্যার কথা বলেন না, যেগুলির সমাধান প্রয়োজন। প্রিয়ঙ্কা আরও বলেন, এই নির্বাচন কোনও একটি পরিবার নয়, কোটি কোটি পরিবারকে নিয়ে যাদের আশা, আকাঙ্খা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর সরকার।