ওয়েইনাড়: দলের সভাপতি হওয়ার পর সেমিফাইনাল জিতেছেন। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীশগড়ে বিজেপিকে সরিয়ে রাহুল ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন কংগ্রেসকে। এবার সামনে আরও বড় লড়াই। লোকসভা ভোট। দেশের মসনদের লড়াই। পথ একেবারেই কুসুমাস্তীর্ণ নয়। বরং কণ্টকময়।  বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট তৈরির একটা চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। উত্তরপ্রদেশে ‘হাত ছেড়েছে’ বন্ধু অখিলেশ। সনিয়ার সঙ্গে হাত মেলাললেও সঙ্গ দেননি মায়াবতীও। দিল্লিতে আপের সঙ্গেও জোট বার্তা বিফলে গেছে। ইউপিএ-র প্রাক্তন শরিক তৃণমূলও একাই লড়ছে। এমন অবস্থায় বিজেপির মোকাবিলা আরও কঠিন হয়েছে। অবস্থা বুঝে দিদি প্রিয়ঙ্কাকেও মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন রাহুল। অতীতে কেবল রায়বরেলি ও অমেঠি-এই দুই কেন্দ্রেই নিজেকে বেঁধে রেখেছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক। এবার অর্ধেক উত্তর প্রদেশ তাঁর দায়িত্বেই। হাই প্রোফাইলড আসন বারাণসী, যে কেন্দ্র থেকে মোদি লড়বেন সেই কেন্দ্রেও কংগ্রেসের দায়িত্বে প্রিয়ঙ্কা। আর নির্ভরযোগ্য নেত্রীকে পেয়েই ‘গড়’ ছেড়ে গোটা দেশের দিকে বাড়তি নজর দিতে প্রস্তুতি সারছেন রাহুলও।



রাহুলের কাঁধে এবার দলের দায়িত্ব তো রয়েছেই সঙ্গে এবার তিনি নিজেকে প্রমাণের তাগিদেও মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিরোধীরা যতই বলুক ‘হার নিশ্চিত’ জেনেই কেরল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কংগ্রেস সভাপতি, রাহুলরা কিন্তু অন্য ছকই কষেছেন। তাঁর কথায় তিনি এক ভারতের জন্য লড়ছেন। উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম, ভারত একটাই, এই মন্ত্র নিয়েই কেরলে পা রেখেছেন তিনি।


বৃহস্পতিবার কেরলের ওয়েইনাড় কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা করেছেন রাহুল গাঁধী। সঙ্গে ছিলেন দিদি তথা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢড়া। জেলা আধিকারিক এ আর অজয়কুমারের কাছে মনোনয়ন জমা করার সময় ‘দিদি-ভাই’য়ের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা কে সি ভেনুগোপাল ও মুকুল ওয়ানিকও। এরপর একটি রোড শো-ও করেন তাঁরা। এরই মাঝে ট্যুইট করে ওয়েইনাড়বাসীর কাছে প্রিয়ঙ্কা অনুরোধ করেন, “আমার ভাই আমার সত্যিকারের বন্ধু, আমার জীবনে দেখা সবথেকে সাহসী একজন ব্যক্তি। ও আপনাদের কখনই আশাহত করবে না। ওয়েইনাড়, ওর খেয়াল রাখবেন।”