চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কেদারনাথ মন্দিরের মাস্টার প্ল্যান তৈরি বলে ঘোষণা করেছেন, মিডিয়া ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যেও ভাষণ দিয়েছেন, যা নীতিহীন কাজ, নীতিগত ভাবে ভুল, অনুচিত।
রবিবার সকালে কেদারনাথ মন্দিরে পুজো দেন মোদি। তারপর সাংবাদিকদের সামনে এসে মডেল আচরণবিধি কার্যকর থাকার মধ্যে তাঁকে মন্দির দর্শনের অনুমতি দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ দেন তিনি। তৃণমূলের বক্তব্য, ২০১৯ এর সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণের প্রচার ১৭ মে সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ হয়ে গেলেও এটা বিস্ময়কর, নরেন্দ্র মোদির কেদারনাথ যাত্রা যাবতীয় জাতীয় ও স্থানীয় মিডিয়ায় গত দুদিন ধরে বিস্তারিত, পুঙ্খানুপুঙ্খ কভার, সম্প্রচার করা হল। এভাবে চরম অস্বীকার করা হল মডেল আচরণবিধি। ওনার প্রতিটি কাজকর্মের খুঁটিনাটি তথ্য ব্যাপক সম্প্রচার করা হল ভোটারদের সরাসরি বা পরোক্ষে প্রভাবিত করার অসত্ উদ্দেশ্য নিয়ে, এমনকী পিছনে ‘মোদি, মোদি’ ধ্বনিও শোনা গিয়েছে। নির্বাচনের দিন ভোটারদের প্রভাবিত করার উদ্দেশ্য সামনে রেখে একেবারে হিসাব কষে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বলে অভিযোগ তুলে তৃণমূল বলেছে, যে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ সংস্থা, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পরিচালনার চোখ ও কান, তারাই মডেল আচরণবিধির ব্যাপক লঙ্ঘনের ব্যাপারে চোখ, কান বুজে রয়েছে। তাদের অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে, এই অন্যায় কর্মসূচির সম্প্রচারও, যা নীতিগত ভাবে ভুল, বন্ধ করতে হবে।