নন্দীগ্রাম : প্রার্থী ঘোষণার আগেই বিরোধী দলনেতার হাত ধরেই গড় চিনলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। পুজো দিলেন মন্দিরে, গেলেন নন্দীগ্রাম। দেখা করলেন শিশিরের সঙ্গে। ছিলেন প্রায় ৪০ মিনিট। 


তমলুক থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?


লোকসভা ভোটে কি তমলুক থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? জল্পনার আবহেই মঙ্গলবার তমলুকে পৌঁছে গেলেন প্রাক্তন বিচারপতি।৫১ পীঠের মধ্যে অন্যতম সতীপীঠ বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিলেন। রেয়াপাড়ার শিবমন্দিরে করলেন আরতি। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার আগে কি নিজের লোকসভা কেন্দ্রকে ভালভাবে চিনে নিতে চাইছেন? সে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন প্রাক্তন বিচারপতি।বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পুজো দিলাম এখানে, এবার দল যা বলবে আমি সেটাই করব।তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যও সোমবার নন্দীগ্রামে ঘুরে মন্দিরে ও মসজিদে পুজো দেন। কার ভক্তিতে কত শক্তি, সেটাই এখন দেখার। 


সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিজিৎ-র নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী


 বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন দরকার বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অবাধ ভোট হলে তৃণমূল মুছেও যেতে পারে। বিজেপির ফল অসম্ভব ভাল হবে। পুলিশ ওপর মহলের নির্দেশে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে।সাধারণ মানুষের রোষ তুলে ধরায় সাংবাদিকদের হেনস্থা করছে।চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক অবস্থা চলছে, এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না। সন্দেশখালিতে মা-বোনের ওপর অত্যাচার হল, অথচ মুখ্যমন্ত্রী একদিনও যাননি বলে মন্তব্য করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


বিজেপিতে যোগ দিতেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তীব্র নিশানা করেন মমতাও


বিজেপিতে যোগ দিতেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তীব্র নিশানা করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বললেন, মুখোশ খুলে পড়েছে। আপনি যেখানে দাঁড়াবেন, আমি স্টুডেন্টদেরই নিয়ে যাব। তার কারণ, স্টুডেন্টরাই লড়াই করবে। যাদের চাকরি আপনারা খেয়েছেন। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দলের এবং একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিদায়ের, বিদায় লগ্নের সূচনা করে দেওয়া এই লোকসভা ভোটে।


আরও পড়ুন, মনোজকে 'ভাই' বলে সম্বোধন, মোদির সভার পরেই জন বার্লার 'বিদ্রোহে' ইতি


তৃণমূল নেত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'আমি খুশি যে তাদের মুখোশটা বেরিয়ে গেছে। মুখোশটা খুলে পড়েছে। মুখ এবং মুখোশ, আমরা প্রথম থেকে বলছিলাম, হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীর চাকরি খেয়ে, বড় নেতা হয়ে গিয়েছিলেন। আজকে আপনি কোথায় গেলেন, কাল থেকে আপনার রায় তো জনগণ দেবে।'