মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: দিলীপ ঘোষের পর জয়ের আশায় গড়জঙ্গলে দেবী শ্যামরূপার মন্দিরে যজ্ঞ করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ (Election 2024)। ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। আগামী ১৩ মে এই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তার আগে, প্রচারের মাঝে পুজো দিলেন কীর্তি আজাদ (TMC Candidate Kirti Azad Offers Puja)।


জয়ের জন্য...
এই মন্দিরের সঙ্গে স্থানীয়দের বহু বিশ্বাস জড়িয়ে রয়েছে। শোনা যায়, আজ থেকে প্রায় কয়েকশো বছর আগে, রাজা লক্ষণ সেনের তৈরি আমলে তৈরি এই মন্দিরে সিদ্ধিলাভের আশায় মহাযজ্ঞ করতেন কাপালিকরা। এও শোনা যায়, এখানেই কবি জয়দেব, শ্যামরূপা মাকে শ্যামরূপে দর্শন করেছিলেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এখনও এখানে ভক্তিভরে পুজো দিলে মনের ইচ্ছা পূরণ করেন মা। ভোটের মরসুমে এই মন্দিরে আনাগোনা বেড়েছে প্রার্থীদেরও। রামনবমীর সন্ধিক্ষণে এখানেই পুজো দিয়ে জয়ের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। আর বৃহস্পতিবার দুপুরে, তুমুল গরমের মধ্যেই গাছতলার বসে শ্যামরূপা মায়ের কাছে যজ্ঞ করে বিজয়-প্রার্থনা করলেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। পাশে বসে স্ত্রী পুনম আজাদ। পরে সাংবাদিকদের বললেন, 'স্বচ্ছ ও ভক্তিযুত মনে প্রার্থনা করলে মা সাড়া দেন। কারণ মা অন্তর্যামী। মায়ের কাছে কিছু চাইতে হয় না। কে মানুষের পূজারি, আর কারা মহিলাদের গালাগালি দেয়, মাকে অপমান করেন, তা মা স্পষ্ট বুঝতে পারেন। দিলীপ ঘোষ বধ হবে। জোড়া ফুলে ভোট দিয়ে দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুরে পাঠিয়ে দেবে বর্ধমান দুর্গাপুরের মানুষ।'


তরজা...
একে এপ্রিলের গরম, তার উপর তৃণমূল-বিজেপির দুই প্রার্থীর মধ্যে গরমাগরম বাক্য বিনিময়। দুইয়ে মিলে তেতে বর্ধমান-দুর্গাপুর। এবিপি সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার কথা। ১ শতাংশ ভোট 'স্যুইং' হলে পাল্টে যেতে পারে ফলাফল। তবে তা না হলে আপাতত এগিয়ে রয়েছে দিলীপ ঘোষ, ইঙ্গিত মিলেছিল সমীক্ষায়।যদিও দিনদুয়েক আগে মনোনয়ন জমা দিতে এসে কীর্তি বলেছিলেন, 'কোনও টাফ লড়াই নেই। আমার সামনে যিনি রয়েছেন, তিনি কখন কী বলেন ঠিক নেই। কাল বলেছেন তৃণমূল জনতার সহানুভূতি চায়। আপনার সঙ্গে মানুষের সহানুভূতি না থাকলে আপনি কী ভাবে জেতার আশা করেন? ওঁদের মিথ্যা কথা সকলে ধরে ফেলেছেন।' অন্য দিকে দিলীপ ঘোষের হুঙ্কার, 'কীর্তি আজাদ নমিনেশন জমা দেওয়ার আগেই প্যাকিং হয়ে যাবে। তৃণমূলবুঝে গিয়েছে হেরে যাবে, তাই গন্ডগোল পাকাচ্ছে'। শেষ কথা অবশ্য বলবেন জনতা। জানা যাবে ৪ জুন।


 


আরও পড়ুন:প্রথম দফায় অশান্তি, দ্বিতীয়-র আগে কী ভাবছেন ভোটকর্মীরা?