শিলিগুড়ি: আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল হবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Elections 2024) দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) দার্জিলিং (Darjeeling), রায়গঞ্জ (Raiganj) ও বালুরঘাট (Balurghat) এই তিন আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বৃহস্পতিবার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ভোট কর্মীদের দেখা গেল নির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে নিজের নিজের ভোট কেন্দ্রগুলির উদ্দেশে রওনা দিতে। ওই ভোট কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ এবিপি আনন্দের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে শোনালেন নিজেদের অনুভূতির কথা।
দক্ষিণবঙ্গে যখন দাবদাহ চলছে তখন আবহাওয়া দারুণ রয়েছে শৈলশহর দার্জিলিঙে। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে অনুভব করা হল ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে কতটা উত্তাপ বেড়েছে তার। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার ভোট হবে এখানে। দ্বিতীয় দফার ভোটে সব থেকে বেশি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে। তাই প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে সেরকমই। সবরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তৈরি করা হয়েছে কুইক অ্যাকশন ফোর্স। ভোটগ্রহণের ডিউটিতে যাওয়া এক কর্মী জানালেন, খুব ভালো ভাবে সব কাজ হচ্ছে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। কোনও ভয় বা টেনশনও নেই। অতীতে বড় কোনও গণ্ডগোল হয়নি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে। তাই অনেকটা নিশ্চিন্তেই রয়েছেন ভোটকর্মীরা। কিছু হলে তো কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছেই বলে মন্তব্য তাঁদের।
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শিলিগুড়িতেও দেখা গেল প্রস্তুতি তুঙ্গে। সেখান থেকে বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের উদ্দেশে ছড়িয়ে পড়ার আগে এবিপি আনন্দের প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়েছিলেন ভোট কর্মীদের কেউ কেউ। তাঁদের মধ্যে একজন যুবতীকে প্রশ্ন করতে তিনি বললেন, "কোনও নার্ভাসনেস বা টেনশন নেই। তবে হ্যাঁ কাজের প্রেসার রয়েছে। চেষ্টা করব ভালোভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করতে।" তবে নকশাল বাড়ি ব্লকের একটি বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পাওয়া এক মহিলা জানান, তাঁকে যে বুথে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেখানে বাকি ভোটকর্মীরা সব পুরুষ। তিনি এই ধরনের পরিকাঠামোর মধ্যে কাজ করতে অস্বস্তি বোধ করবেন। কী করে এই সমস্যার সমাধান করবেন তা বুঝতে পারছেন না বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাজোসাজো রব দেখা গেল রায়গঞ্জ ডিসিআরসি-তেও। সেখানে উপস্থিত একজন ভোটকর্মী জানালেন, লোকসভা ভোটে টেনশন কম থাকে। পঞ্চায়েত অশান্তি অনেক বেশি হয়। অতীতে একবার একটি বুথে তাঁকে সহকর্মীদের সঙ্গে তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। অন্য একজনও জানান, লোকসভা ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে বলে অনেক বেশি নিরাপত্তা থাকে। ভোটকর্মীরা নিজেদের নিরাপদ মনে করেন। বিধানসভাতেও ভয় থাকে। এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, নির্বাচন কমিশনের খাতায় স্পর্শকাতর এলাকা বলে চিহ্নিত ইসলামপুরে গিয়ে দেখা গেল ভোট কর্মীদের নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে নির্দিষ্ট থাকা ভোট কেন্দ্রের দিকে রওনা দিতে।
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে ডিসিআরসি রয়েছে বালুরঘাট, বুনিয়াদপুর ও ইটাহারে। বালুরঘাট কলেজে হওয়া ডিসিআরসি সেন্টারে দেখা গেল নিজেদের দায়িত্ব ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বুঝে নিচ্ছেন ভোটকর্মীরা। তবে সেখানে প্রচুর ধুলো থাকায় সমস্যা হতে দেখা যায় অনেকের। কেউ কেউ মুখে রুমাল বেঁধে লাইনে দাঁড়িয়ে ইভিএম ও অন্যান্য জিনিসপত্র নেন। একজন অভিযোগ করেন, প্রচুর ধুলো রয়েছে। যথেষ্ট পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হয়নি। অনেকে ইভিএমও ঠিক সময়ে পাননি। দীর্ঘক্ষণ ধরে লাইনে দাঁডাতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari:'বামেদের মতো নবান্নে গিয়ে ফিশ-ফ্রাই খাইনি', বলরামপুরের সভা থেকে আক্রমণ শুভেন্দুর
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।