ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: 'উনি অশিক্ষিত, আইনের কিছু বোঝেন না', এসএসসি-তে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের আক্রমণ প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly Jibe At Mamata Banerjee)। বলেন, 'অনেকের নাম এসে গিয়েছে। ধেড়ে ইঁদুর এবং মাথা ধরা পড়বে।' অভিজিতের আরও অভিযোগ, 'চাকরি বিক্রির পরিকল্পনা কারা করেছিলেন? দুর্নীতির জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভাইপো বন্দ্যোপাধ্যায়।' 


আর কী বললেন?
গত কাল, সোমবার, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে জানানো হয়েছে, সিবিআই তদন্ত জারি রাখবে। প্রাক্তন বিচারপতি মনে করছেন, এতে আরও অনেকেরই নাম উঠে আসতে পারে। সেই প্রসঙ্গে বলেন, 'চাকরি বিক্রির পরিকল্পনা কারা করেছিলেন? দুর্নীতির জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভাইপো বন্দ্যোপাধ্যায়।' তৃণমূলনেত্রীকে 'অশিক্ষিত' বলতেও ছাড়েননি তমলুকের বিজেপি প্রার্থী। তাঁর কথায়, 'উনি আইনি-বেআইনি কিছুই বোঝেন না। শুধু সংলাপ বলতে পারেন মঞ্চের উপর...।' 
সোমবার, কলকাতা হাইকোর্ট রায়ে জানিয়ে দেয়, ২০১৬ সালের SSC-র সমস্ত নিয়োগই অবৈধ। ওই বছরের নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ ও গ্রুপ C ও গ্রুপ D-র সমস্ত নিয়োগ বাতিল করে দেয় বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। বাতিল করে দেওয়া হল পুরো প্যানেল। শুধু তাই নয়। নির্দেশে বলা হয়, ৪ সপ্তাহের মধ্যে সুদসমেত ফেরত দিতে হবে বেতনের সব টাকা। এই নিয়ে, গত কাল, চাকুলিয়ার জনসভায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, 'গোটা রায়টাই বেআইনি। পুরো রায়টাকে চ্যালেঞ্জ করছি।' বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শোনা যায় তাঁকে। নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও টানেন তিনি। যে ভাবে তৃণমূলনেত্রী বিচারবিভাগের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সে ব্যাপারে এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, 'এই কথা যিনি বলেন, তিনি আসলে ভারতীয় নন। খোঁজ নিন, তাঁর নাগরিকত্ব কোথাকার।' বিষয়টি নিয়ে কোনও ধরনের ব্যাখ্যা দিতেও নারাজ প্রাক্তন বিচারপতি। 


শাহের আক্রমণ...
চাকরি বাতিল ইস্যু নিয়ে মঙ্গলবার আক্রমণ শানাতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও। বলেন, 'কাল ২৫ হাজার চাকরি হাইকোর্ট সাসপেন্ড করেছে। কেন করেছে? ১০ লাখ, ১৫ লাখ চাকরির জন্য ঘুষ নিত। মা-বোনেরা, আপনাদের কাছে ভাই-ছেলেদের চাকরি দেওয়ার জন্য ১৫ লাখ টাকা রয়েছে? তাহলে কী করে চাকরি পাবেন?ওঁর এক মন্ত্রীর ঘর থকে ৫১ কোটি টাকা নগদ পেয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও জেলে। কিন্তু 
মমতাদি তাঁকে সাসপেন্ড করতে চান না। এই কাটমানি, এই চাকরি দুর্নীতি বাংলায় শেষ হওা উচিত কি উচিত নয়? মমতাদি রুখতে পারেন? কেবল বিজেপি পারে।' 


 


আরও পড়ুন:দ্বিতীয় দফায় হিংসা রুখতে সতর্ক নির্বাচন কমিশন, কী কী অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে?