ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: আগামী ১৩ মে অর্থাৎ চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ বোলপুর লোকসভা আসনে। তার আগে, সেখানকার বিজেপি প্রার্থী (Bolpur BJP Candidate Gets Central Security), পিয়া সাহাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হল। অবশ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেদিন আমোদপুরে সভা করতে আসনে, সেই দিক থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পাচ্ছেন তিনি।
বিশদ...
বোলপুরের বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, মঙ্গলকোটে প্রচারের সময় তাঁর সঙ্গে থাকা মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এর পরই, বিজেপি নেতা অমিত মালব্য তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে খবর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে তার পরই। ফলে, এখন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জন জওয়ান সব সময় তাঁকে ঘিরে রাখবে। এবার বোলপুরে বিজেপি প্রার্থীর উল্টো দিকে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের অসিত মাল এবং সিপিএমের শ্যামলী প্রধান। এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের তরফে যে জনমত সমীক্ষা করা হয়েছিল, তাতে সম্ভাব্য জয়ী হিসেবে তৃণমূল প্রার্থীর কথার বলা হয়। তবে গণতন্ত্রে শেষ কথা মানুষই বলেন। তাই এখানকার প্রার্থীদের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণ হবে আগামী ১৩ মে, চতুর্থ দফা ভোটের দিন। এবং অনুব্রত মণ্ডলহীন লালমাটির জেলায় তৃণমূলের জয় যে এবার খুব সহজে হবে না, সে ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলের বড় অংশ।
তার উপর সন্দেশখালির ঘটনাকে প্রচারের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে ছাড়ছে না বিজেপি। মঙ্গলকোট বিধানসভা দিয়ে শুরু হয় এই প্রচারের কাজ। বোলপুর লোকসভা আসনের অধীনে থাকা ৭টি বিধানসভা এলাকাতেই সন্দেশখালির বাসিন্দাদের নিয়ে প্রচারের পরিকল্পনা করে বঙ্গ বিজেপি। পিয়া সাহার সমর্থনে সন্দেশখালির বাসিন্দাদের নিয়ে প্রচারের মূল উদ্দেশ্য় একটাই। কী ভাবে সেখানকার মহিলা-পুরুষদের উপরে শাসকদল অত্যাচার করে, সেই অভিযোগে শান দেওয়া।
আর যা...
তবে পিয়াকে প্রার্থী কার নিয়ে যে দলের মধ্যেই বিরোধী সুর রয়েছে, সেটাও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। বোলপুর থেকে তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে বিজেপির মধ্যে অসন্তোষ চাপা ছিল না। কীর্ণাহারে পোস্টার পড়ে। 'পিয়া সাহা হটাও বিজেপি বাঁচাও' ডাকও দেওয়া হয়েছিল সেই পোস্টারে। দলের মধ্যে এই ধরনের বিরোধিতার সুর শেষমেশ ভোটবাক্সে ধাক্কা দেবে কিনা, তা বোঝা যাবে ৪ জুন। আপাতত, তাঁর নিরাপত্তার দিকে নজর দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন:'চাকরি খেয়ে মিথ্যা কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী', পুরুলিয়ায় জনসভায় তোপ মুখ্যমন্ত্রীর