সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ভোটের (Lok Sabha Election 2024)  আগে ফের বোমা উদ্ধার হল ভাটপাড়ায়। পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পরিত্য়ক্ত জায়গা থেকে ৪৭টি  ভর্তি বোমা উদ্ধার করে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূল। পাল্টা অর্জুনই (Arjun Singh) বোমা রেখেছেন বলে দাবি তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্য়ামের।


ভাটপাড়ার পরিত্য়ক্ত এক বাড়ি, সেখানেই ঘরের বাইরে সাজিয়ে রাখা একাধিক মিষ্টির ড্রাম, লাড্ডুর কৌটো। তাতে মিষ্টি নয়, ছিল ৪৭টি সতেজ বোমা। ভাটপাড়া থানার পুলিশ এবং বম্ব স্কোয়া়ড এসে উদ্ধার করে বোমাগুলি। পরে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়।


প্রশ্ন কোথায়?
কোথা থেকে এল এত বোমা?
কী উদ্দেশে রাখা হয়েছিল বোমাগুলি?
তবে কি ভোটের মধ্যে বোমার স্তুপে ভাটপাড়া?


ভাটপাড়া থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ভাটপাড়া পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়নগর দিঘিরপাড় এলাকায় ৪টি ড্রাম ও ৩টি প্লাস্টিকের কৌটোয় বোমা রাখা আছে বলে খবর পাওয়া যায়। অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয় প্রচুর তাজা বোমা। মঙ্গলবার ও বুধবার মিলিয়ে সেগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়।


যদিও ব্য়ারাকপুরের বিজেপি প্রার্থীর দাবি, তাঁর কাছ থেকেই অভিযোগ পেয়ে সক্রিয় হয় ভাটপাড়া থানার পুলিশ। বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ বলেন, 'ওখানে পার্থ ভৌমিকের দুটো ছেলে আছে সনৎ দে, আর বিষ্ণু অধিকারী এরাই মালটা মজুত করেছিল আমি লাইভ লোকেশন কোথায় আছে, সবটাই আমি পাঠিয়েছিলাম, আমি টুইট করেছিলাম, দুদিন আগে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। আজকে বাধ্য় হয়ে টুইট করলাম তারপর নড়াচড়া পড়েছে তখন এটা অ্য়ারেস্ট হয়েছে।'


পাল্টা জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, 'বোম তো একজনই রাখে বোম রাখার মালিক হচ্ছে অর্জুন সিং। বোম তৈরি করার যে দায়িত্ব নেয় এবং ঠেকা নেয় তিনি অর্জুন সিং। এখন যখন দেখছে বাংলার পুলিশ একদম সতর্কভাবে সব জায়গায় চিরুনি তল্লাশি  চালাচ্ছে তখন নিজেই জানিয়ে দিয়েছে যে বোমটা ওখানে আছে কারণ নাহলে তো ভাবছে ওর নামে চলে আসবে।'


বুধবার ঘটনাস্থলে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। বিষয়টিতে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 


২০ মে ব্য়ারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। তার কদিন আগেই ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায় উদ্ধার হল বোমা। যার জেরে বাড়ছে উত্তেজনা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশে চাকরিহারারা কি ভোটের দায়িত্বে? কী বলছে কমিশন?