বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: আগামী ১৬ এপ্রিল হতে পারে প্রথম দফার (Lok Sabha Election 2024 Date) ভোট, এমনই খবর সূত্রে। শোনা যাচ্ছে, লোকসভা ভোটের সঙ্গে কিছু বিধানসভা আসনেও উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। 


কী জানা গেল?
লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে রাজনৈতিক দলগুলির ঘর গোছানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। দফায় দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে শুরু করেছে তারা। কিন্তু কবে হবে ভোট? আপাতত মূল প্রশ্ন এটাই। আগামীকাল, শনিবার, বেলা ৩টেয় সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আপাতত যা শোনা যাচ্ছে, তাতে সাতেরও বেশি দফায় ভোটগ্রহণ হতে পারে। এই রাজ্যে ভোটগ্রহণে সাতেরও বেশি দফা লেগে যেতে পারে বলে সূত্রের খবর। নির্বাচনের জন্য রাজ্যে থাকবে ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলেই দেশ জুড়ে লাগু হয়ে যাবে নির্বাচনী আচরণ বিধি। 
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচন শুরু হয়েছিল ১১ই এপ্রিল। চলে ১৯মে পর্যন্ত। ফলপ্রকাশ হয়েছিল ২৩ মে। সাত ধাপে নির্বাচন হয় সে বার। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় ক্ষমতায় আসার জন্য 'ম্যাজিক ফিগার' ২৭২। বিজেপি একা-ই ৩০৩টি আসন পেয়ে যায়। এনডিএ জোট ধরলে সংখ্যাটি ছিল ৩৫৩। সেখানে কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ৫২টি আসন। ইউপিএ মোট ৯০টি আসনে জয়ী হয়েছিল।


এখন যা ছবি...
এবার '৪০০ আসনে' জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও প্রচারের মেজাজ টের পাওয়া যাচ্ছে পুরোদমে। প্রার্থিতালিকাও ঘোষণা করতে শুরু করেছে তারা। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। আবার গত রবিবার 'জনগর্জন সভা' থেকে ৪২টি আসনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। গত কাল ১৬ জনের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছেন বামেরাও। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এবার অপেক্ষা দিনক্ষণের। পাশাপাশি রাজ্যে কত দফায় ভোট হতে চলেছে, সে দিকেও নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। প্রসঙ্গত, কলকাতায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠকের সময় তৃণমূলের তরফে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, '৭ দফা নয়, পশ্চিমবঙ্গে ১ দফায় নির্বাচন করতে হবে।' তিনি বলেছিলেন, 'শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সুবিধার জন্য পশ্চিমবঙ্গে এই ব্যবস্থা কেন?' ১ দফা নির্বাচনের যত পুলিশ বাহিনী দরকার, তত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করারও আর্জি জানান তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, CISF আনার জন্য সাধারণ মানুষ ভোট দিতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। 
কমিশন কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটাই এখন দেখার।


আরও পড়ুন:‘ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব হয় না’, CAA নিয়ে অবস্থান জানালেন বিমান