দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোটের (Lok Sabha Elections 2024) দিনক্ষণ ঘোষণার পরপরই জনগর্জন সভায় প্রার্থী (TMC Candidate List) তালিকা প্রকাশ্যে এনেছিল। এই প্রার্থী তালিকায় কিছু যেমন ছিল নয়া চমক, তেমনই চোখে পড়েছিল বাদের তালিকা। এই তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই জানা যায়, এবার ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বলাইবাহুল্য লোকসভা ভোটে বাংলায় নজরকাড়া কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম ডায়মন্ডহারবার। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বিজেপি ইতিমধ্যেই বাংলায় দুই দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ্যে এনেছে।কিন্তু এখনও অভিষেকের বিপরীতে কাউকে দাঁড় করায়নি বিজেপি। আর এখানেই তৃণমূলকে নিশানা করলেন প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (BJP Candidate Dilip Ghosh)।
উনি কীভাবে ভোটের মার্জিন বাড়ান, সবাই জানেন : দিলীপ
ডায়মন্ড হারবার নিয়ে টেনশনে তৃণমূল, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। বললেন, 'ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি তো এখনও প্রার্থীই ঘোষণা করেনি। ডায়মন্ড হারবার নিয়ে তৃণমূলের এতো টেনশনের কী আছে। কমিশনের ভোটপ্রস্তুতি দেখে হয়তো টেনশন করছে। দেখা যাক, মাঝে অনেক ঘটনাই ঘটবে, মন্তব্য দিলীপ ঘোষের । 'উনি কীভাবে ভোটের মার্জিন বাড়ান, সবাই জানেন', নাম না করে ডায়মন্ড হারবার নিয়ে অভিষেককে খোঁচা দিলীপের।
উনিশের লোকসভা ভোটে কোথায় দাঁড়িয়ে ছিল কে ?
প্রসঙ্গত, ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৯ সালে ৭ লক্ষ ৯১ হাজার ১২৭ ভোটে জয়ী এনেছিলেন। বড় ব্যবধানে হার এসেছিল গেরুয়া শিবিরে। অভিষেকের বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন নীলাঞ্জন রায়। তিনি পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৩৩ ভোট। যদিও বাম ও কংগ্রেস ১ লক্ষও পার করতে পারেনি। যদিও একুশের বিধানসভা ভোটে অন্য সমীকরণ তৈরি হয়েছিল। বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দীপক কুমার হালদার। তবে বাংলায় দ্বিতীয়দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেও এই কেন্দ্রে কে দাঁড়াবে বলেনি বিজেপি। বলাইবাহুল্য তাই নজর রয়েছে সবার।
আরও পড়ুন, ভোট প্রচারে গিয়ে ক্ষোভের মুখে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী
ট্য়ুইস্ট নৌশাদ
অপরদিকে, এই কেন্দ্রের অন্যতম বড় ট্য়ুইস্ট নৌশাদের ইচ্ছেপ্রকাশ। এই কেন্দ্র থেকে তিনি অভিষেকের বিপরীতে লড়াইয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। জল কোন দিকে গড়ায়, তা এখনও সবার অজানা। এই কেন্দ্র নিয়ে জটিলতা অনেকদিন থেকেই চলে আসছে। তবে বিজেপির তরফে কে দাঁড়াবে জানলেই হিসেব নিকেশ অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠবে বলে চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।