ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, প্রদ্যোৎ চক্রবর্তী, মুর্শিদাবাদ: সকাল থেকেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। চূড়ান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। চলল তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বচসা, ধাক্কাধাক্কি ! মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভোট-অশান্তিতে উত্তপ্ত মুর্শদাবাদ। বোমা পড়া থেকে হাতাহাতি, মারামারি, উঠল নানা অভিযোগ। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে কোথাও এজেন্টকে বের করে দেওয়া, কোথাও আবার মহিলা ভোটারদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠল।
সকাল থেকেই নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। লোচনপুরের পর গোপীনাথপুরে নিজেই ভুয়ো এজেন্ট ধরেন সিপিএম প্রার্থী। এর আগে রানিনগরের কেশবপুর নওদাপাড়ায় ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে ছুটে যান সেলিম। তাঁর সঙ্গে হাতাহাতি বেঁধে যায় তৃণমূল কর্মীদের। রানিনগরের ৩৮ নম্বর বুথের বাইরে সেলিমকে লক্ষ্য করে 'গো ব্যাক, স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ পেয়ে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস তুলে দেয় পুলিশ।
মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত নদিয়ার করিমপুরের শুভরাজপুর। সেখানে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশের সাহায্যে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছন ভোটাররা। অন্যদিকে, এই জেলারই করিমপুরের মহিষবাথানে ১১৩ ও ১১৪ নম্বর বুথে ভোটকক্ষের মধ্যে ঢুকে যায় রাজ্য পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ পেয়ে বের করে দেওয়া হয় দুই পুলিশ কর্মীকে।
অন্যদিকে ডোমকলের ঘোড়ামারায় বিরোধী ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ফের তৃণমূলেরই বিরুদ্ধে। টোটো করে যাওয়ার সময় আটকে দেওয়া ভোটারদের। তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে সাহায্য চান ভোটাররা। বাহিনী দেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। একই ঘটনা ঘটে ঘোড়ামারার মোমিনপুরে। সেখানেও ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাড়া করে জমায়েত হঠায় পুলিশ। একই ছবি ডোমকলের রমনা বসন্তপুরেও। সেখানে ভোটাররা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। পরে পুলিশের সাহায্যে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছন গ্রামবাসীরা।
মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ঘোড়ামারায় বিরোধী ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। টোটো করে যাওয়ার সময় আটকে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে সাহায্য চান ভোটাররা। বাহিনী দেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। একই ঘটনা ঘটে ঘোড়ামারার মোমিনপুরে। সেখানেও ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাড়া করে জমায়েত হঠায় পুলিশ। একই ছবি ডোমকলের রমনা বসন্তপুরেও। সেখানে ভোটাররা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। পরে পুলিশের সাহায্যে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছন গ্রামবাসীরা।
এদিকে আবার রানিনগরে অভিযোগের তীর বাম-কং জোটের দিকে। তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। রানিনগরের মরিচা-নীচুপাড়ায় ১৬৮ নম্বর বুথে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে বাম-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে জোট। ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আবার এই রানিনগরেই লোচনপুরে ৩৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে সিপিএম এজেন্টকে মারধর করে বের করে দিয়ে তৃণমূল কর্মী নির্দল এজেন্ট সেজে বুথে বসে পড়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পালিয়ে ৩ কিলোমিটার দূরে পাশের গ্রাম পাহাড়পুরে একটি কলাবাগানে প্রায় একঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন সিপিএম এজেন্ট মোস্তাকিন শেখ। খবর পেয়ে গ্রামে যান সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। এজেন্ট ও কর্মীদের অভয় দিয়ে বুথে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। বুথে গিয়ে কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ভুয়ো এজেন্টকে বের করে দেন সেলিম নিজে। ভুয়ো এজেন্টের স্বীকারোক্তি, তৃণমূলের তরফে তাঁকে কাগজ দেওয়া হয়েছিল। পরে ওই ভুয়ো এজেন্টকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ওই বুথে মক পোলের সময় ২ জন এজেন্ট বসতে চাইছিলেন। নিয়ম মেনে একজনকে বের করে দেন সেক্টর অফিসার।
এদিকে আবার মুর্শিদাবাদ বিধানসভা এলাকায় গুধিয়া কাঁকসা হাই মাদ্রাসায় ২৫৪ নম্বর বুথে ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের অভিযোগ, তাদের এজেন্টকে মারধর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় মোটরবাইক। সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠলেও, সকাল থেকে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা QRT-র দেখা মেলেনি। সিপিএমের এজেন্ট পাশের গ্রাম থেকে আসায় বহিরগত বলে আপত্তি জানান গ্রামবাসীরা, দাবি তৃণমূলের।