ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম : ভোট দিতে গিয়ে ভোট পড়ে গিয়েছে এমন অভিজ্ঞতার কথা প্রায়শই শোনা যায়। ভোটদানে বাধা পাওয়ার অভিযোগও ওঠে ভুরিভুরি। কিন্তু কেউ যদি ভোট দিতে এসে শোনেন, তিনি মৃত? আশ্চর্য না? ঠিক এমনটাই ঘটল চতুর্থ দফার ভোটে।
ইলেকশন কমিশনের খাতায় নিজেকে মৃত বলে আবিষ্কার করলেন ভোটার
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাঁইথিয়া থানার বেহিরা গ্রামের বাসিন্দার অভিজ্ঞতা হল এমনটাই। হরিসরা পঞ্চায়েতের বেহিরা আদিবাসী পাড়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ৮১নং বুথে তিনি সোমবার সকাল ভোট দিতে আসেন। ভোটার আই-কার্ড নিয়েই ভোট দিতে এসেছিলেন দুর্গা কর্মকার। লাইনে দাঁড়ালেন। এবার লিস্টে নাম মেলাতে গিয়ে দেখা গেল, তিনি 'মৃত'। ইলেকশন কমিশনের খাতায় নিজেকে মৃত বলে আবিষ্কার করলেন তিনি।
কমিশনের রেকর্ডে 'মৃত' দুর্গা
জলজ্যান্ত দুর্গাকে দেখও ভোটকর্মীরা জানিয়ে দেন, ইলেকশন কমিশনের খাতায় তিনি মৃত। তাই ভোটার কার্ড থাকা সত্ত্বেও , মুখের সঙ্গে ছবির মিল থাকলেও, তিনি দিতে পারলেন না ভোট। কারণ কমিশনের রেকর্ডে তিনি মারা গিয়েছেন আগেই। তাই ভোট তিনি কোনওভাবেই দিতে পারবেন না।
দুর্গা কর্মকার তো দিব্য বেঁচে আছেন। তিনি ভোটও দিতে চান। কিন্তু বারবার অনুরোধ করেও ভোট দেওয়া হল না বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাঁইথিয়া থানার বেহিরা গ্রামের বাসিন্দা দুর্গার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে গিয়ে, তাঁদের হয়ে ভোট দিয়ে দিচ্ছে প্রিসাইডিং অফিসার
অন্যদিকে পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভায় ২৭ নম্বর বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে উঠল পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ । তৃণমূলের অভিযোগ, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে গিয়ে, তাঁদের হয়ে ভোট দিয়ে দিচ্ছে প্রিসাইডিং অফিসার। ভোটারদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন প্রিসাইডিং অফিসার। খবর পেয়ে ওই বুথে যান রাজ্যের মন্ত্রী ও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক স্বপন দেবনাথ। তাঁর কাছে ক্ষমা চান প্রিসাইডিং অফিসার। ওই প্রিসাইডিং অফিসারকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন স্বপন দেবনাথ।
আরও পড়ুন : চতুর্থ দফার ভোটে বৃ্ষ্টির সঙ্কেত কোন কোন কেন্দ্রে ? জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর