কলকাতা: হাতে গুনে আর মাত্র ক'টা দিন। অন্তিম দফায় সাধারণ মানুষের মতামত দেওয়া বাকি। তারপরেই বুঝি আরব্য রজনী সমাপ্ত ? একেবারেই না। বরং দিল্লির মসনদে বিরাজ করবে কে ? তা নিয়ে আলোচনা চারিদিকে। ৪ জুন সে খবর আসবে প্রকাশ্যে। সিংহাসন মজবুত করতে এবং ছাব্বিশের ডবল ইঞ্জিন সরকারের স্বপ্নে, ঠিক তার আগে রাজ্যে এসে শাসকদলকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দুর্নীতির ইস্যুতে মনে করালেন, '১০ বছর আগে আমি গ্যারান্টি দিয়েছিলাম না খাব না খেতে দেব !'
TMC-র লুঠের ১৭ হাজার কোটি টাকা আমি মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
এদিন মোদি বলেন, 'কেন্দ্রীয় স্তরে ১০ বছরে কোনও দুর্মীতি হয়নি। মোদি দেশ ও পশ্চিমবঙ্গে নতুন গ্যারান্টি দিচ্ছে। যে দুর্নীতি করেছে তার থেকে আদায় করা হবে আর যে দুর্নীতির শিকার তাকে ফের দেওয়া হবে। তৃণমূলের নেতাদের কাছ থেকে যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে তার হিসেব হবে, কীভাবে তা প্রতারিতদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায় সেই জন্য আইনি পথ তৈরি করছি আমি। এখনও পর্যন্ত মানুষের থেকে লুঠ করা ১৭ হাজার কোটি টাকা আমি মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছি। বাংলার মানুষও যাতে লুঠ হওয়া টাকা ফিরে পায়, তার পূর্ণ চেষ্টা করছি। দুর্নীতি বাজদের কালো টাকার এক্সরে বের করব আমি। এমন এক্সরে যে এদের পরবর্তী প্রজন্ম দুর্নীতি করার আগে ভাববে।'
প্রথমে কংগ্রেস, পরে বামেরা বাংলা লুঠ করেছে, এখন বাংলাকে দুহাতে লুঠছে তৃণমূল : মোদি
তিনি আরও বলেন,' এক সময় ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষের কর্ম সংস্থান হত পশ্চিমবঙ্গে। এখন পশ্চিমবঙ্গে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্য়া বাড়ছে। বাংলা এই অবস্থা কে করল? প্রথমে কংগ্রেস, পরে বামেরা বাংলা লুঠ করেছে। এখন বাংলাকে দুহাতে লুঠছে তৃণমূল। এই তিন দলই বাংলার অপরাধী। পর্দার পিছনে টিএমসি ও বামেরা একই কয়েনের দুই পিঠ। বামেদের ভোট দেওয়া মানে সেই ভোট যাবে তৃণমূলের কাছে।'
আরও পড়ুন, 'বাংলার ফল' নিয়ে মোদির ভবিষ্যতবাণীর পর চরম কটাক্ষ কুণালের, বললেন..
'তৃণমূল ও ইন্ডিয়া জোট আপনাদের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তিত নয়'
মোদির সংযোজন,' তৃণমূল ও ইন্ডিয়া জোট আপনাদের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তিত নয়। এরা নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কের তুষ্টিকরণে ব্যাস্ত। বাংলাতে তৃণমূল প্রতারণা করেছে ওবিসির সঙ্গে। আদালত তা দেখিয়ে দিয়েছে। হাইকোর্ট বলেছে ৭৭ মুসলিম সম্প্রদায়কে ওবিসি ঘোষণা করা সংবিধান বিরোধী। তৃণমূল লক্ষাধিক ওবিসি যুবক, যুবতীর অধিকার কেড়ে নিয়ে ভোট জিহাদিদের সাহায্য করতে। আদালতের রায়ের পর বিচারপতিদের নিয়ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, আদালতকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করানো হচ্ছে। আদালতের গলা টেপার চেষ্টা করছে। যারাই তৃণমূলের অপরাধ প্রকাশ্যে আনে তাদের টার্গেট করে তৃণমূল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।