নয়াদিল্লি : রাজনৈতিক জল্পনা ছিলই। সেইমতোই এবার বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তমলুকের বিদায়ী সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। একইসঙ্গে বিজেপিতে ফিরলেন অর্জুন সিং। ব্যারাকপুর থেকে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এদিন অর্জুন সিংহ ও দিব্যেন্দু অধিকারীকে বিজেপিতে স্বাগত জানান অমিত মালব্য।


গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে দিব্যেন্দু বলেন, "আজ আমার কাছে দিনটি শুভ। কারণ বিজেপি পরিবারের সঙ্গে জুড়লাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিজেপিতে যোগ দিলাম। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। আমরা মা দুর্গা-কালীর পুজো করি। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, বিশেষ করে মহিলাদের প্রতি...যার নিন্দা করার কোনো ভাষা নেই। সন্দেশখালি এখন গোটা দেশের ইস্যু। অত্যাচারিতদের কাছে যেভাবে সবার আগে বিজেপি পৌঁছে গেছে, তা আর কোনও দল পারেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর মানুষের অনেক আশা ছিল। মহিলাদের শুধু ৫০০-১০০০ টাকা দিয়ে সম্মান জানানো যায় না। যে সম্মান মহিলাদের পাওয়া উচিত তা তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে পাননি। আইন-শৃঙ্খলা নেই। ছোট কার্যকর্তা হিসাবে মোদিজিকে ৪০০ পার করাতে যা করার করব।"


তৃণমূলের সাংসদ পদ না ছাড়লেও, দলের সঙ্গে তাঁর আর কোনও সম্পর্ক নেই বলে আগের দিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন দিব্যেন্দু। তিনি বলেছিলেন, "তৃণমূলের সঙ্গে আমি নেই। ২০২১ সালের পর থেকে নেই আমি।" কেন নেই জানতে চাইলে দিব্যেন্দু বলেন, "কষ্ট, যন্ত্রণা, ব্যথা...।"


তৃণমূলে থেকে কী কষ্ট, যন্ত্রণা পেয়েছেন, তা যদিও বিশদে জানাননি দিব্যেন্দু। তাহলে কি বিজেপি-র প্রার্থী হয়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন দিব্যেন্দু ? এর জবাবে দিব্যেন্দুর মন্তব্য ছিল, "কোনও রাজনৈতিক দল যখন সিদ্ধান্ত নেয়, সর্বোচ্চ ফোরাম থাকে। প্রার্থী হওয়া, না হওয়া বড় কথা নয়। তৃণমূলে প্রার্থী হব বলে প্রত্যাশা করিনি। কিন্তু প্রার্থী হয়েছিলাম। অন্য দলে গেলে, কাজ করার সুযোগ থাকে যদি, যদি কাজ করার সুযোগ দেয়, পোস্টার লাগানোর কাজ দিতে পারে, পতাকা বাঁধতে বলতে পারে, মঞ্চ সাজাতে বলতে পারে না, যে কাজই দিক, কোনও কাজতেই ছোট বলে মনে করি না।"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে