কলকাতা : 'যে লোকটা বলেন, আমি তৃণমূল কংগ্রেসকে এজেন্ট বসতে দেব না। সে লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না।' গতকাল গোঘাটের সভা থেকে সাধুদের একাংশকে নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম করে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে। এবার কার্তিক মহারাজের ছবি পোস্ট করে সাধুদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী


গোঘাটে কী বলেছিলেন মমতা ?


মমতা বলেছিলেন, "সব সাধু তো সমান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও সবাই সমান ? না। এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে ...কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সংঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘের একটা তালিকায় তাঁরা অনেক দিন ধরে আছে। কিন্তু, যে লোকটা বলেন, আমি তৃণমূল কংগ্রেসকে এজেন্ট বসতে দেব না। সে লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ তিনি সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছেন। আমি আইডেন্টিফাই করেছি, কে কে করেছেন? আসানসোলে একটা রামকৃষ্ণ মিশন আছে। আমি রামকৃষ্ণ মিশনকে কী সাহায্য করিনি? সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, আপনাদের অস্তিত্ব নিয়ে, স্বাধিকার নিয়ে তখন কিন্তু আমি পুরো সমর্থন দিয়েছিলাম। মা-বোনেরা আসতেন। তাঁরা তরকারি কেটে দিতেন। আর সিপিএম কিন্তু আপনাদের কাজ পর্যন্ত করতে দিত না। আমি জানি কয়েকজন। সবাই তো নন। যেমন আমি শুনলাম। আসানসোলের একটি মিশন আছে। ইস্কনও মনে রাখবেন ৭০০ একর জমি দিয়েছি ইস্কন শহর করার জন্য নদিয়াতে। ইস্কনেরও একটা মন্দির আছে। ইস্কনেরও একটা মিশন আছে। একটা-দুটো তো থাকবেই। দিল্লি থেকে নির্দেশ আসে। বলে, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বলুন। কেন করবে সাধু-সন্তরা এ কাজ ! কিন্তু, রামকৃষ্ণ মিশনকে সবাই সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে। ওদের কাছে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। ওদের যাঁরা মেম্বার হন, যাঁরা দীক্ষা নেন। তাঁদের আমি ভালবাসতে পারি। আমি দীক্ষা নিতে পারি। কিন্তু, রামকৃষ্ণ মিশন ভোট দেয় না কখনও । এটা আমি জানি। তাই, আমি অন্যকে কেন ভোট দিতে বলব ? কেউ কেউ লঙ্ঘন করছে। সবাই নয়। কিন্তু, স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িটাই থাকত না, আপনাদের এই মেয়েটা যদি না বেঁচে থাকতেন।"


তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু লেখেন, 'ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের পাশে আছি। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন ও ইসকনের সঙ্গে আছি। হিন্দু সন্ন্য়াসীদের সঙ্গে আছি।'