তমলুক: শেষ হয়েছে ষষ্ঠ দফার ভোট। আর এদিন লোকসভা নির্বাচনে বাংলার অন্যতম হেভিওয়েট কেন্দ্র ছিল তমলুক। এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Tamluk BJP Candidate Abhijit Gangopadhayay)। যিনি একসময়  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে কর্মরত অবস্থায়, নিয়োগ দুর্নীতিতে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। বলাইবাহুল্য তিনি বারবার ফিরেছেন শিরোনামে। ষষ্ঠ দফার ভোটের পর এবিপি আনন্দ-কে দিলেন বিশেষ সাক্ষাৎকার। কী বললেন তিনি ?


ভোটে সন্তুষ্ট ?


এদিন ভোট শেষ হওয়ার পর তমলুকের বিজেপি প্রার্থী  অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সন্তুষ্ট নই। কারণ আমাদের দুইজন কর্মীকে তৃণমূল এমনভাবে মেরেছে, যে তাঁদের সম্ভবত ইন্টারন্যাল হেমারেজ শুরু হয়েছে। এই হত্যালীলা অনেকগুলি জায়গায় ! ছাপ্পাভোটের অভিযোগ আছে। আমাদের কুইক রেসপন্স টিম, তাঁদেরকে যে পুলিশ সবসময় ঠিকভাবে মুভ করিয়েছে, তাও নয়। পুলিশ একটা নতুন রকমের অত্যাচার চালু করেছে। সেটা এক এক জনকে ভোটের দিন বাড়িতে আটকে দেওয়া, যাতে সে কাজ না করতে পারে।আমাদের গৌতম গুরু বলে একজনকে এরকম করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু গৌতম গুরু পুলিশের চেয়ে একটু বেশি বুদ্ধি ধরেন। তিনি বাড়িতে ঢুকে অন্য গেট দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। উনি বাড়িতে নেই। সারা দিন ভোটের যা দায়িত্ব ছিল, তা পালন করেছেন। পুলিশ ওর বাড়ির সামনে এসে তিন ঘণ্টা বসে ছিল। 


এখনও পর্যন্ত যা ভোট হয়েছে, তাতে আপানর নিজের জয়ের বিষয়ে কতটা আশা ?


না এবিষয়ে আমি কোনও প্রেডিকশন করি না। চার তারিখে যখন রেজাল্ট বেরোবে, আপনারা সবাই দেখতে পাবেন। 


বেশ কয়েকটা জায়গায় আপনাকে আজকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল। এটা তো একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা ?


হ্যাঁ, এটা তো একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা অবশ্যই। আমাকে যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁদেরকে আমি বিভ্রান্ত-এই ধরণের মানুষ বলেই ধরেছি। তাঁরা এখনও জানেন না কে চোর আসলে ? তাঁদের বিভ্রম আমরা কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।  


আপনার যেমন অভিযোগ রয়েছে, আপনার বিরোধী প্রার্থীদেরও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ রয়েছে..


না আমরা ওইসব ছাপ্পাভোটের সংষ্কৃতিতে বিশ্বাসী নই। ছাপ্পাভোটের সংষ্কৃতি ওদের। গাধাকে কাগজ চিবিয়ে খাওয়ার কথা পড়েছিলাম নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্পে। ব্যালট পেপার চিবিয়ে খেয়ে ফেলছে ! কারা এরা আমিতো ঠিক বুঝতে তো পারলাম না।


কেন্দ্রীয় বাহিনী-নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় সন্তুষ্ট ?


সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট নই। সম্পর্ণ সন্তুষ্টি হয়ও না। তবে, পুলিশ অবজারভার, জেনারেল অবজারভার, এদেরকে যখনই ফোন করেছি, সঙ্গে সঙ্গে পেয়েছি। এদের কাজটা আমার ভাল লেগেছে। এবং এখানকার জেলা শাসক অত্যন্ত কঠিন এবং কঠোর রুলস ফলোয়ার। তাঁর পারফরমেন্স আমার ভাল লেগেছে। এইটুকু সন্তুষ্টি আছে। সন্তুষ্টয় যদি একটা নাম্বার দিতে বলেন, ১০০ তে আমি ৪২ দেব।' 


আরও পড়ুন, ধেয়ে আসছে রেমাল, গাছ ভরা আমের কী হবে ? ক্ষতির আশঙ্কায় কপালে ভাঁজ ব্যবসায়ীদের


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।